কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তারা কথায় কামান দাগাতে ওস্তাদ

দেশ রূপান্তর প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮

আমার ছেলে প্রসূনের বন্ধু তাহমিদ। সেন্ট যোসেফ স্কুল থেকেই তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করছে। দুজন ভর্তি হয়েছিল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে। বন্ধুমহলে প্রসূন বেশ লম্বা, ছয় ফুট ছাড়িয়েছে আগেই। কিন্তু তাহমিদ প্রসূনের চেয়েও লম্বা। স্বাস্থ্যও প্রসূনের চেয়ে ভালো। সব মিলিয়ে দারুণ হ্যান্ডসাম। তাহমিদের বাবা দুবাইয়ে চাকরি করেন। বড় বোন আর মাকে নিয়ে বনশ্রীতে তাদের বাসা। সচ্ছল পরিবারের সন্তান তাহমিদ, দাবড়ে বেড়াত ঢাকা। বাবা দেশের বাইরে ছিল বলে, তাহমিদই ছিল তার পরিবারের কর্তা। নিজে গাড়ি চালিয়ে ইউনিভার্সিটিতে যেত। মধ্যরাতে মা-বোনকে নিয়ে চলে যেত কখনো মাওয়া, কখনো অন্য কোথাও। হঠাৎ এক শুক্রবার সকালে শুনি তাহমিদ মারা গেছে! আমাদের কারও বিশ্বাসই হচ্ছিল না। বুধবারও তাহমিদ গাড়ি চালিয়ে ইউনিভার্সিটিতে গেছে। রাতে এক আত্মীয়ের গায়ে হলুদে অংশ নিয়েছে। পরদিন নিজে ডাক্তারের কাছে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খারাপ লাগছিল বলে নিজে থেকেই যেতে চেয়েছে। মা-বোনের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়িতে মায়ের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তাররা জানান, গাড়িতেই মারা গেছে তাহমিদ। মায়ের কাঁধে মাথা রেখেই চিরঘুমে চলে গেছে তাহমিদ। মাত্র দুদিনের জ্বরে তাহমিদের মতো প্রাণবন্ত একটি ছেলের চলে যাওয়ার শোক এখনো সামলে উঠতে পারিনি আমরা। সন্তান হারানোর বেদনায় আর্ত আমরাও। তার বন্ধুরা এখনো বিশ্বাসই করতে পারছে না। একবার ভাবুন সেই মায়ের কথা, যার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেল সন্তান। গত একমাসে সেই মাকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বনশ্রীতে তাদের বিশাল বাসায় এখন খাঁখা শূন্যতা, বাসাজুড়ে তাহমিদের স্মৃতি। কীভাবে ভুলবে সেই মা, সেই বোন।


শুধু তাহমিদের পরিবার নয়, দেশের শত শত পরিবারে এখন একই ধরনের কান্না, হাহাকার। তছনছ হয়ে গেছে অসংখ্য পরিবার, মুছে গেছে শত স্বপ্ন। এক সপ্তাহে পরিবারের দুই সন্তানকে হারানোর বেদনায় নীল পরিবারের কান্নাও ছুঁয়ে গেছে সবাইকে। হাসপাতালে হাসপাতালে এখন উপচেপড়া ভিড়। কোথাও আসন খালি নেই, আইসিইউ তো সোনার হরিণ। দুঃখটা হলো ডেঙ্গু কিন্তু নতুন অসুখ নয়। অনেক পুরনো রোগ। তবে বাংলাদেশে এই জ্বর শনাক্ত হয়েছে ২০০০ সালে। এমনিতে বলা হয়, ডেঙ্গু মূলত বর্ষার রোগ। জুন থেকে সেপ্টেম্বর হলো ডেঙ্গুর মৌসুম। কিন্তু এবার বর্ষার আগেই ডেঙ্গু তার থাবা বিস্তার করে। লক্ষণ দেখে মৌসুম শুরুর আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে আসছিল, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ বছর ডেঙ্গুর বিস্তার হবে ভয়াবহ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ডেঙ্গু এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। কান্নায় ভারী হচ্ছে বাতাস।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও