কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিশুর জন্ম দিতেও আমরা এখন ভয় পাচ্ছি

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৫৮

বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের পাঠ শেষ করার পরও একটা লিটলম্যাগ সূত্রে সেখানে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আড্ডা জমত। টানা কয়েক বছর এই আড্ডা ছিল নিয়মিত। নিয়ম করেই লেখক, কবি ও প্রাবন্ধিকেরা সেখানে আসতেন। এ রকমই এক আড্ডায় এক কবি একদিন বলে বসলেন, ‘আমি তো অন্য কারও কবিতা পড়ি না। কবিতা পড়লে সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।’ এক দশক পর সেই কবি কোথায় আছেন, কী করছেন, এখন আর কবিতা লেখেন কি না, জানি না।  সেই কবির মতো আমাদের মেয়রেরা ও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের কাজের সৃজনশীলতা নষ্ট হবে বলে সম্ভবত পত্রিকা পড়েন না কিংবা টেলিভিশনে খবর দেখেন না। ফেসবুক কিংবা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তাঁরা সম্ভবত ‘সৃজনশীল’ কোনো পথ অনুসরণ করেন।

না হলে গত মে মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন মানবিক বিপর্যয়ের খবরে আমরা নাগরিকেরা যে ভয়, শঙ্কা ও আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়েছি, সেই খবর তাঁদের কাছে একটুও কেন পৌঁছাবে না? এ বছর ডেঙ্গু মহামারির মতো এক বিপর্যয় আর গণট্র্যাজেডির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মিছিলের অগ্রভাগে আমাদের হাসি-আনন্দ আর বেঁচে থাকার অফুরান ভান্ডার শিশুরা। একেকটা শিশুকে কেন্দ্র করে এই শহরে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের একেকটা বাসায় একেকটা পরিবার যে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না ও আনন্দের সংসার রচনা করে, সেই পরিবারগুলো তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে দুর্বিষহ, এর চেয়ে যন্ত্রণাময় বেঁচে থাকা আর কী হতে পারে!


মারা যাচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা, তাঁদের অনাগত শিশুরা। ভাবতে পারেন, এই শোকভার কীভাবে বইতে পারে একেকটা পরিবার? কয় দিন আগে একটা পরিবারে দুই যমজ শিশু মারা গেছে। সদ্য-সন্তান-হারানো এক মা প্রথম আলোর প্রতিবেদককে ফোন করে সেই মা-বাবাকে সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার তো তা-ও সান্ত্বনা আছে। আমার একটি সন্তান বেঁচে আছে। তাঁদের সান্ত্বনা আর কোথায় থাকল?’


ডেঙ্গুর কারণে মানবিক বিপর্যয়ের এই অসহ দিনগুলোয় আমাদের কারও কি সান্ত্বনা আছে? এ বছরে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিপরীতে উচ্চ মৃত্যুহারের দিক থেকেও বাংলাদেশ বিশ্ব রেকর্ড করেছে।


প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো জনবসতিপূর্ণ নগরগুলোর বাইরে গ্রামগুলোয় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত মানুষদের একটা অংশকে আইসিইউতে যেতে হচ্ছে। যমে-মানুষে টানাটানি শেষে অনেকেই ফিরছেন জীবনে। কিন্তু এই খরচ জোগাড় করতে গিয়ে সহায়সম্বল হারাতে হচ্ছে। অনেকে ধার করছে। অনেককে উচ্চ সুদে ঋণ করতে হচ্ছে। যে পরিবারে একাধিকজন গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে, তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। মহামারি আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির টানা ধাক্কায় জেরবার পরিবারগুলো ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ জোগাতে যারপরনাই অসহায় হয়ে পড়ছে। আইসিইউ যাদের লাগছে না কিংবা বাসায় যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের অসহায়তাও কম নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও