ডেঙ্গুতে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি কতটা
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বরে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়। আর যদি ডেঙ্গু হেমোরেজিক হয়, সে ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু হার বেড়ে যায় ৪৫০ গুণ। সময়মতো রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা পেলে এই মৃত্যুহার ২৭ থেকে ১ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। সুতরাং গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
সিভিয়ার বা জটিল ডেঙ্গু জ্বর
এখানে রোগীর লক্ষণীয় মাত্রায় রক্তপাত থাকতে পারে, শকে অজ্ঞান হতে পারে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এই গ্রুপের রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে সেবা দিতে হবে।
এ সময়ে রোগীর জ্বর হলে, এমনকি শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা না হলেও রক্তের কিছু পরীক্ষা করতে হবে। রক্তে হেমাটোক্রিট ২০ শতাংশ বেড়ে গেলে, পালস প্রেশার (সিস্টোলিক ও ডায়াস্টলিকের পার্থক্য) ১০-২০ শতাংশ কমে এলে, শ্বেত রক্তকণিকা পাঁচ হাজারের নিচে নেমে এলে, রক্তের অণুচক্রিকা এক লাখের নিচে নামলে ধরে নিতে হবে তার ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর হচ্ছে।