কসমেটিকস শিল্পে সংকটের আশঙ্কা
ব্যবসা-বাণিজ্যে অস্থিরতার এ সময় কসমেটিকস উৎপাদনকারীরা নতুন সংকটের আশঙ্কা করছেন। সম্ভাব্য এ সংকটের পেছনে রয়েছে প্রস্তাবিত ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩’। ওষুধ ও কসমেটিকস দুটি ভিন্ন ধরনের পণ্য হলেও আইনের খসড়ায় সব কসমেটিকসকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে আনার জন্য এর সংজ্ঞা, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, মান নিয়ন্ত্রণ, মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এমন কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কার্যকর হলে এই শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তারা।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আইনের খসড়ার প্রয়োজনীয় সংশোধন না হলে এ খাতে ব্যবসা ও বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভোক্তাদের ওপরও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কসমেটিকস খাতের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী সংগঠন প্রস্তাবিত আইন সংশোধনে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ও আইনের খসড়ায় পরিবর্তন চেয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে বিল আকারে উত্থাপনের পর পর্যালোচনার জন্য বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে। সংসদীয় কমিটির কাছে বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের লিখিত মতামত জমা দিয়েছে। অবশ্য সংসদে উত্থাপনের আগ পর্যন্ত কোনো পর্যায়েই কসমেটিকস শিল্পের অংশীজনের মতামত নেওয়া হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর কসমেটিকস খাতের অংশীদাররা এ সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- উৎপাদন
- সংকট
- কসমেটিকস