গরিবের কষ্টার্জিত অর্থ লুট হয়ে যাচ্ছে
গত ২৭ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ শিরোনাম দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। শিরোনামটি ছিল, ‘নাসা গ্রুপের ২৬১ কোটি টাকা সুদ মাফ জনতা ব্যাংকের’। গত কয়েক বছর জনতা ব্যাংকের এমন আরও কিছু অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হতে দেখেছি। এসব অপকর্ম ব্যাংকটির নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। ব্যাংকের নাম ‘জনতা ব্যাংক’ হলেও, দেশের জনতার প্রতিই সবচেয়ে বেশি অবিচার করছে। এ দেশের সাধারণ মানুষের কষ্টে অর্জিত অর্থ লুটপাটে তারাই বেশি সাহায্য করছে। এ ব্যাংকটি দেশের একশ্রেণির অর্থ লুণ্ঠনকারীর দোসর হয়ে লুটপাটে অন্য সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গেছে।
এ খাতে ঋণখেলাপির ঘটনাই এর জন্য বেশি দায়ী। এক হিসাবে দেখা গেছে, গত তিন মাসে জনতা ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত মার্চে যেখানে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, সেখানে জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ঋণ বাবদ ব্যাংকের মোট যে পরিমাণ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে, তার ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশই এখন খেলাপি। গত মার্চেও এ হার ছিল ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। আশঙ্কার বিষয় হলো, ব্যাংকটির ঋণ বাবদ বিতরণ করা মোট ৯৪ হাজার ২০৭ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা দেশের চিহ্নিত তিনটি প্রভাবশালী শিল্প গ্রুপকে দেওয়া হয়েছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ঋণখেলাপি
- ঋণখেলাপি মামলা