সেপ্টেম্বরে রাজনীতির উত্তাপ
শোকের মাস আগস্ট শেষে শুরু হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বর। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সেপ্টেম্বর মাসজুড়েই রাজনীতি উত্তাপ ছড়াবে। এ মাসের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ‘পুরোদমে নির্বাচনি যাত্রা’ শুরু করতে যাচ্ছে। মাসের প্রথম দিন ছাত্রলীগ ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী সমবেত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইদিন বিএনপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া এ মাসেই সরকার পতনের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন বেগবান করবে বিএনপি। প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থান এবং কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতির পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনি যাত্রা শুরু করছে আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে আরও জোরালো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ‘পুরোদমে নির্বাচনি যাত্রা’ শুরু করতে যাচ্ছে দলটি। এরই অংশ হিসাবে মাসের প্রথম দিনেই ছাত্র সমাবেশের মধ্য দিয়ে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ছাত্রলীগ। এর পরদিন ২ সেপ্টম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের উদ্বোধন ঘিরেও মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দেবে দলটি। এছাড়া ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প অর্থাৎ মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধন ঘিরেও কয়েকটি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনি যাত্রার অংশ হিসাবে খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে বিভাগীয় সমাবেশ হবে। জেলা পর্যায়েও পালিত হবে এসব কর্মসূচি।
আন্দোলনের গতি বাড়াবে বিএনপি
সরকার পতনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে বিএনপির নেতৃত্বে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। গতি বাড়াতে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে চায় বিএনপি। সেজন্য সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই জোরদার আন্দোলনে নামছে দলটি। এরই অংশ হিসাবে আগামীকাল বর্ণাঢ্য র্যালি করবে। মূলত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ কর্মসূচি থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে মাঠ তৈরির কাজ শুরু করছেন নেতারা। ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে রাজধানীতে বড় ধরনের জমায়েতের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। সাংগঠনিক জেলায়ও একই ধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে সরকারবিরোধী সমমনা ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ে ছাত্রঐক্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে। এর আগে র্যালি ছাড়াও নানা ইস্যুতে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এর মধ্যে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে দলটি। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে দলের নেতাদের ভাবতে বলা হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনের শুরুতে গণমিছিল, আদালত চত্বরে অবস্থান, সমাবেশ, পদযাত্রার মতো কর্মসূচির প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।