কতটা সফল হয়েছে ব্রিকস
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হয়েছে বিকাশমান পাঁচ অর্থনীতির জোট ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার (ব্রিকস) এই জোট এখন বিশ্ব মঞ্চে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে সদস্যদেশগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কও খুব সহজ নয়।
জোহানেসবার্গের এই সম্মেলনের অন্যতম আলোচ্য বিষয় জোটে যোগ দেওয়ার জন্য কিছু আবেদন বিবেচনা করা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ‘সম্প্রসারিত ব্রিকস বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থাসংবলিত বৈচিত্র্যপূর্ণ কিছু জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করবে, যাদের আরও ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্বব্যবস্থার জন্য একক অভিলাষ রয়েছে।’
তবে ব্রিকস সম্প্রসারণের কাজটি খুব সহজে হবে না। একটি আদর্শ সুখী পরিবারের উদাহরণ ব্রিকস নয়। ব্রিকসের সম্প্রসারণ সম্ভবত জোহানেসবার্গে হবে না। একই সঙ্গে নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার যে আকাঙ্ক্ষা ব্রিকসের কোনো কোনো দেশের রয়েছে, তা কতটা অর্জিত হবে, সেটি নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। জোটে চীন ও রাশিয়ার উপস্থিতির কারণে এর একটি পশ্চিমাবিরোধী চরিত্র নিয়েও অনেকে উদ্বিগ্ন।
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, ২২টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আবেদন করেছে। আরও ২০টি দেশ যোগ দিতে আগ্রহী। ব্রিকসের নতুন সদস্য হতে চায় এমন দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, কিউবা, কাজাখস্তান ও বাংলাদেশ। এই দেশগুলোর প্রায় সবাই উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং এরা আরও বেশি বাণিজ্য করতে চায়, চায় আরও বেশি বিনিয়োগ। তবে কারও কারও ভূরাজনৈতিক স্বার্থও রয়েছে, রয়েছে পশ্চিমাবিরোধী অবস্থান।