কুমড়ো কোরার রেসিপি
স্বাদে-গুণে পরিপূর্ণ সবজির মধ্যে অন্যতম হলো মিষ্টি কুমড়ো। পুষ্টিবিদদের মতে, কুমড়ো ভিটামিন ‘এ’-এর একটি উচ্চ উৎস। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়। শুধু কুমড়োই নয়, এর বিচিগুলোও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উত্স হলো কুমড়োর বীজ। এই কুমড়ো দিয়ে তৈরি একটি মজাদার খাবার হলো কুমড়ো কোরা। অবশ্য অনেকের কাছে এটি নারকেল-কুমড়ো কোরাও হিসেবেও পরিচিত।
জেনে নিন, কুমড়ো কোরার রেসিপি:
উপকরণ:
কুমড়ো, নারকেল, দুধের সর (পরিমাণ বেশি), তেজপাতা, শুকনো মরিচ, মেথি দানা, আদা বাটা, জিরা, ধনে, গোলমরিচ, লবণ, চিনি, ঘি, সাদা তেল, গরম মশলা গুঁড়ো
প্রণালি:
কুমড়ো ভালো করে ধুয়ে ভিতরের নরম অংশ এবং খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার কুমড়ো গ্রেট করে নিন। নারকেল কুরিয়ে নিন। কোরানো নারকেল ভালো করে বেটে নিন। এতে স্বাদ আরও বাড়বে। এবার দুধের সর খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। আগে এই রান্না করা হত ঘি দিয়ে। আজকাল অনেকেই ঘি খেতে চান না বা খেতে পারেন না। তারা সাদা তেলেই রান্না করতে পারেন।
এবার কড়াইয়ে তেল বা ঘি গরম করে তাতে এক চামচ চিনি দিয়ে দিন। তারপর তাতে দিন তেজপাতা এবং শুকনো মরিচ ফোঁড়ন। ঘ্রাণ বের হলে তাতে দিয়ে দিন মেথি দানা। মেথি ফোঁড়নের ঘ্রাণ পেলে তাতে দিয়ে দিন গ্রেড করা কুমড়ো। খুব ভালো করে নাড়তে থাকুন। কুমড়োর রং হালকা পরিবর্তন হলে তাতে দিয়ে দিন নারকেল বাটা। খুব ভালো করে মেশাতে থাকুন। মাঝারি আঁচে কুমড়ো ও নারকেল কোরা ভাজতে থাকুন।
এই রান্নাটি বাটা মশলায় করলে বেশি ভালো হয়। গোলমরিচ, জিরে ও ধনে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। মশলা বাটার সুবিধা না থাকলে বাটিতে অল্প পানি নিয়ে গোলমরিচ, ধনে, জিরের গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভাজা কুমড়ো কোরায় এই মশলা দিয়ে আবার কষাতে থাকুন। লবণ দিয়ে দিন।
এবার এতে দিন আদা বাটা এবং পানিতে গোলানো গরম মশলার গুঁড়ো। কুমড়ো এবং নারকেলের পানিতে ধীরে ধীরে শুকাতে থাকবে। যতক্ষণ না সেই পানি শুকোচ্ছে ততক্ষণ মিশ্রণ নাড়তে থাকুন। ভালো মতো ঘ্রাণ বের হলে তাতে দিয়ে দিন ফেটিয়ে রাখা দুধের সর। দুধের সর মোটা এবং পরিমাণে বেশি হলে রান্নার স্বাদ বেড়ে যাবে। রান্নাটি যদি সাদা তেলে করে থাকেন তাহলে শেষে এতে এক চামচ ঘি দিয়ে দিন। সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
গরম ভাতে এই কুমড়ো কোরা পরিবেশন করতে পারেন।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- রেসিপি
- মিষ্টি কুমড়ো