ডিজিটাল বিশ্বে পরিবর্তন এনেছে মোবাইল গেমিং
শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই মোবাইল গেমিং। ডিজিটাল যুগে এসে গেমিং আরও বড় পরিসরকে প্রভাবিত করছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং ডিজিটাল অর্থনীতির গতিপথের মানোন্নয়নে গেমিং খাতটি এখন দারুণ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুধু পশ্চিমা দেশগুলোতেই নয়, মোবাইল গেমিং এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। এশিয়ায় শিল্পোন্নয়নের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। ২০২৬ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী গেমিং থেকে রাজস্ব ৩২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা এ খাতের তাৎপর্য এবং বিশ্বজুড়ে গেমিং শিল্পের প্রসারের কথাই বলে।
শুধু স্ক্রিন ট্যাপ এবং গেমে স্কোর করা–গেমিং নিয়ে এমন গতানুগতিক ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে সময়ের মোবাইল গেমিংগুলো। এতে যুক্ত হচ্ছে আরও নানা দিক। যেমন ২০২১ সালে, এমন লৈঙ্গিক বৈষম্য নিয়ে গেমগুলোতে সতর্ক হতে দেখা যায়। তা ছাড়া গেম প্লেয়াররা বিভিন্ন ইন-গেম চরিত্রগুলোর মধ্যেও মিল খুঁজে পায়। যার প্রভাব ইন-গেম ক্যারেক্টার বা চরিত্রগুলো নির্বাচনের সময় বোঝা যায়।
করোনা সময়ে মোবাইল গেমিং অনেকের জন্য হয়ে ওঠে স্বস্তির কারণ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সূত্র বলছে, অনলাইন গেমিং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক। কোন অনিশ্চিত বা নিঃসঙ্গ সময়ে গেমিং যোগাযোগের একটি মাধ্যমে হয়ে উঠে। একইসঙ্গে এটি এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি এবং থেরাপিউটিক সহায়ক উৎস হিসেবেও কাজ করে।