সিরিজ বোমা হামলা: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ভয়াবহ ব্যর্থতা
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) পরিকল্পিত সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। সেদিন বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ ছাড়া ৬৩ জেলার প্রায় ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিরা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিদের বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি, আধা-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ। মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে চালানো সেই হামলায় ৫ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণে দুই জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। দেশে জঙ্গি কায়দায় ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা করেছিল জেএমবি।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় মোট ১৫৯টি মামলার মধ্যে ১১৮টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন ৪১টি মামলা বিচারাধীন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েক জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়নি। সিরিজি বোমা হামলার ১৮ বছর হয়ে গেছে, তাই এসব মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে কার্যকর করা প্রয়োজন।
১৯৯৮ সালে গঠিত হয় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবি। জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা আমির শায়খ আবদুর রহমান গ্রেফতারের পর জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে ছয়টি প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাগ করে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। পরে দাওয়াত ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তাদের সংগঠনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করে। এভাবেই সারাদেশে কর্মী সংগ্রহ শুরু করে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই বছর দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে জেএমবি। এরপর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে।