‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’: আরও যা ভাবতে হবে

সমকাল ড. মো. মোরশেদুল আলম প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০১:০১

ডেল্টা প্ল্যান তথা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ মূলত একটি অভিযোজনভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক মহাপরিকল্পনা, যা উন্নয়নের ফলাফলের ওপর পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবহার, প্রতিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং এদের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়াকে বিবেচনা করে করা হয়েছে। ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার দেশকে ২০৩১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তর করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ গড়ে তুলতে চায়।


পরিকল্পনা প্রণয়নে দেশের ৮টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলকে ভিত্তি হিসেবে ধরে প্রতিটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির মাত্রায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই ধরনের দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোকে অভিন্ন গ্রুপ বা হটস্পটে আনা হয়েছে। এভাবে দেশে মোট ৬টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে– উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী ও মোহনা অঞ্চল, নগর অঞ্চল ও ক্রস কাটিং অঞ্চল। এসব হটস্পটের পানিসম্পদ, ভূমি, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ভূ-প্রতিবেশ, নদীর অভ্যন্তরীণ ব্যবহার, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা, পলি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে পানির চাহিদা নিরূপণ ও সুপেয় পানি সরবরাহে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য ২৩টি প্রকল্প, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য ৯টি প্রকল্প, হাওর ও আকস্মিক খরাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য ৬টি প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য ৮টি প্রকল্প, নদী ও মোহনা অঞ্চলের জন্য ৭টি প্রকল্প, নগর অঞ্চলের জন্য ১২টি প্রকল্প এবং ক্রস কাটিং অঞ্চলের জন্য ১৫টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে।


পরিকল্পনায় হটস্পটভিত্তিক সমস্যাগুলো আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে। নদী ও উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ এলাকার সমস্যা– স্বাদু পানির সংকট, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, পরিবেশের অবনমন। হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের সমস্যা– স্বাদু পানির সংকট, আকস্মিক বা মৌসুমি বন্যা, জলাবদ্ধতা ও অপর্যাপ্ত নিষ্কাশন, অপর্যাপ্ত পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা– স্বাদু পানির স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও ক্রমহ্রাসমান জীববৈচিত্র্য। নদী অঞ্চল মোহনার সমস্যা– বন্যা, পরিবেশের অবনমন, পানিদূষণ, পলি ব্যবস্থাপনা ও নৌপরিবহন, নদীগর্ভের পরিবর্তন, ভাঙন ও নতুন চর জেগে ওঠা। এ ছাড়া নগরাঞ্চলের সমস্যা– অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা, স্বাদু পানির অপর্যাপ্ততা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ডেল্টা পরিকল্পনায় প্রতিটি হটস্পটেই পরিবেশের অবনমনকে সাধারণ সমস্যা হিসেবে ধরা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও