কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে সংশয়

সমকাল নূরুননবী শান্ত প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩১

পরিভাষাগত দিক থেকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা’ আলাদা শোনালেও এ দুয়ের অর্থগত ভিন্নতা নিয়ে সাধারণ মানুষের সংশয় আছে। কেননা, আমরা ডিজিটাল ও সাইবার শব্দ দুটিকে একই অর্থে ও ভাবে বুঝি। তা ছাড়া সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের বিপুল প্রচার ও কার্যক্রমের কারণে সাইবার শব্দটি আমাদের মাথায় কম কাজ করা স্বাভাবিক। তবে এখন হয়তো ডিজিটাল ও সাইবার উভয় পরিভাষা সমানে চালু থাকবে; যেহেতু একদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দ্রুতই বিপজ্জনক এক্সপ্রেসওয়েতে পরিণত হয়েছে, আরেকদিকে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নাম ধারণ করতে যাচ্ছে।


আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হয়েছে, বাতিল করা হয়নি। নামটা নতুন করে দেওয়া হয়েছে, কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে।’ তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, নামটা পরিবর্তন করা হয়েছে আইনের ‘ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য’। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘পরিবর্তনটা এতটাই করা হয়েছে, সেখানে যাতে কোনো দ্বিধা তৈরি না হয়, সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নাম রহিত করে তার পরিবর্তে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। ব্যাপারটা হচ্ছে, আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে, নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে, অনেক জায়গায় সাজার পরিমাণ বেশি ছিল, সেটা কমানো হয়েছে, যেখানে উপধারা দিয়ে পুনরায় অপরাধ করলে সাজা দ্বিগুণ হয়ে যেত, সেটা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। কোনো সংশয় যাতে তৈরি না হয়, সেই কারণে রহিতকরণ ও হেফাজতকরণের বিধান রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছি।’ তাঁর এ বক্তব্যের পরও আমরা সংশয়মুক্ত, দ্বিধাহীন হতে পারছি না। প্রধান গণমাধ্যমগুলো ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল’ বা ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়’ ইত্যাদি শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করেছে। এসব সংবাদকে আইনমন্ত্রী ‘সত্য নয়’ বললেও, সমালোচিত আইনটি বাদ দেওয়ার জন্য টিআইবিসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে।


সোমবারই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘সমালোচকদের গ্রেপ্তার, আটক ও মুখ বন্ধ রাখার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়েছে।’ মিলার আরও মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা আইন সংস্কার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানাই।’ সমালোচিত আইনটি বাতিল বা বাদ না হওয়া সত্ত্বেও এসব সাধুবাদ ও স্বাগত জানানোও আমাদের সংশয়ের কারণ বৈকি।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও