পিরিয়ড পণ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক
নারীদের পিরিয়ড পণ্যে মিলেছে বিষাক্ত রাসায়নিক পলিফ্লুরো অ্যালকাইল সাবসট্যান্স (পিএফএএস)। নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাসায়নিকটি শরীরে প্রবেশের পর তা ভেঙে না গিয়ে দীর্ঘ সময় মানুষের রক্তপ্রবাহে থেকে যায় বলে পিএফএএস-কে ফরএভার কেমিক্যালও (চিরস্থায়ী রাসায়নিক) বলা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান ফ্রান্সিসকোতে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির মিটিংয়ে রোববার তা উপস্থাপন করা হয়েছে। যে কয়েকটি পণ্য নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে আর সেসব থেকে পাওয়া পিএফএএসের পরিমাণ জানানো হয়েছে।
গবেষণায় পিরিয়ডের সময় ব্যবহৃত ট্যাম্পন ও প্যাডের মতো পণ্যগুলোতে পিএফএএস’র সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে ফ্লোরিনযুক্ত যৌগের ১০০টিরও বেশি পণ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, এসব পণ্যগুলোর মধ্যে এই যৌগের সর্বোচ্চ পরিমাণ মোট প্রতি মিলিয়ন ফ্লোরিনে এক হাজার থেকে কয়েক হাজার অংশ।
নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালিসা উইকস বলেন, ‘এই পণ্যগুলোতে পিএফএএস’র একটি সারোগেট হিসাবে জৈব ফ্লোরিন আছে কি না, তা নির্ধারণ করা হয়েছে।’ গবেষকরা জানিয়েছেন, পিরিয়ড পণ্যে পিএসএফ যৌগ ব্যবহারের মূল কারণ লিকেজ থেকে রক্ষা করা। পিএফএএস সাধাণরত নন-স্টিক কুকও্যারের মতো গৃহস্থালি পণ্য, দাগ নিরোধক ও অগ্নিনির্বাপক ফোমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পূর্ববর্তী অনেক গবেষণায়ও ক্যানসার কোষের বিকাশসহ স্বাস্থ্যের ওপর পিএফএএস’র প্রতিকূল প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।