অপুষ্টিকে বিদায় দিন ৮ খাবারে
বর্তমান কর্মব্যস্ত সময়ে কাজ ও দায়িত্ব সামাল দিতে গিয়ে সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করে না অনেকেই। বিশেষ করে অফিস সামলে বাড়ির সবার প্রতি খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক সময়ই নিজের খাওয়াদাওয়ার দিকেই নজর দেন না মেয়েরা।
আবার বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, সময়মতো না খাওয়া এসবের কারণে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।
অপুষ্টির কারণে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে, যাতে সেই অভাব পূরণ হয়ে যায়। জেনে নিন কোন খাবারগুলো খেলে অপুষ্টি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
১. গাজর
গাজর একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা ভাল দৃষ্টিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই প্রতিদিনের খাবারে বা সালাদে গাজর রাখা উচিত।
২. বাদাম
বাদাম হল উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি বিস্ময়কর উৎস। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি চুল পড়া কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। তাই প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।
৩. পালং শাক
আয়রন, ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর, পালং শাক অন্যতম স্বাস্থ্যকর সবুজ শাক। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতুলনীয়। তাই প্রতিদিনের খাবারে পালং শাক রান্না করে খেতে পারেন বা স্মুদিতেও মিশিয়ে খেতে পারেন।
৪. দই
প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, বদ হজমে বাঁধা দেয়। এ ছাড়া পেশীর শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫. সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্ট এবং মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সামুদ্রিক মাছ অনেক উপকারী, বিশেষ করে গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছে।
৬. মসুর ডাল
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন সমৃদ্ধ মসুরের ডাল থাকলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তা ছাড়া এ ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীরে এনার্জি বাড়াতে অনেক কার্যকরী একটি খাবার।
৭. কমলা
ভিটামিন সি তে ভরপুর এই ফলটি দেহে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর একটি করে কমলা খাওয়ার অভ্যাস শরীরে রোগের উপস্থিতি অনেকটাই কমিয়ে দিবে।
৮. কুইনোয়া বা কাউন চাল
প্রোটিন, ফাইবার সমৃদ্ধ গ্লুটেন-মুক্ত কাউন চাল একটি সুপার ফুড। এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড যা অন্যান্য খাবারে পাওয়া যায় না। দিনে এক বাটি কিনোয়া খাওয়া মানে শরীরকে একই সঙ্গে শর্করা, প্রোটিনের জোগান দেওয়া। তার সঙ্গে আরও থাকছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।