কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাদেশের জন্ম গোষ্ঠীতন্ত্রকে সুবিধা দেয়ার জন্য হয়নি, এটা ভাঙলেই সমাধান আসবে

বণিক বার্তা রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩

ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সুশাসন, বৈদেশিক বাণিজ্য, অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাত, মেগা প্রকল্প ও জ্বালানি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম


বাংলাদেশের গ্রোথ মিরাকল ভেঙে পড়ছে কেন? 


বাংলাদেশ ক্রান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকরা তাদের যাপিত দুর্বিষহ জীবন থেকে সমাধানের পথ খুঁজছেন। অর্থনীতির ওপর অব্যাহত নিম্নমুখী চাপ এখন বেশ বড় রকমের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। যেমন বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতির মুখ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি, তার প্রাপ্তি ও ক্রমহ্রাসমান ক্ষয়। সেই সঙ্গে টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হারে ক্রমাগত পতনও বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের গ্রোথ মিরাকল ভেঙে পড়ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।


আপনি কি মনে করেন গত এক দশকের সরকারি ব্যয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যের একটা ফরেনসিক অডিট হওয়া দরকার?


অবশ্যই ফরেনসিক অডিট হওয়া দরকার। কারণ আমাদের চিহ্নিত করতে হবে, আর্থিক দুর্দশা কখন থেকে শুরু হয়েছে এবং এর কার্যকারণটা কী? এ দুই প্রশ্নের উত্তরের শুরুটা পাওয়া যাবে ২০২১-২২ আর্থিক বছরের হিসাবে। আমদানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। তিনটি বিষয় তলিয়ে দেখলে বলা যাবে কোনোভাবেই এটি মানানসই উল্লম্ফন নয়। প্রথমত, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় কভিডের প্রাদুর্ভাবজনিত অভিঘাতের কারণে একটা মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। যদিও তা কোনোভাবেই ১০ শতাংশের বেশি নয়। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের অধিকাংশ আমদানি-রফতানি জাহাজীকরণ হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখানকার তথ্য-উপাত্ত কোনোভাবেই এ ৩৫ শতাংশ ঊর্ধ্বগতির কোনো ব্যাখ্যা হাজির করে না। তৃতীয়ত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উপাত্তের মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য লক্ষণীয়। সব মিলিয়ে বলতেই হয়, এ উল্লম্ফনের কারণ অনুসন্ধানে একটা ফরেনসিক অডিট দরকার। এটা যদি হয়, তাহলে আমরা জানতে পারব অফিশিয়াল চ্যানেল দিয়ে কেন এ উল্লম্ফন ঘটল, কারা ঘটাল, কেন ঘটাল? আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, একেবারে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করেও দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। অফিশিয়াল চ্যানেলে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ পাচার হয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা আগেও দাবি করেছে। প্রশ্ন হলো কেন, কীভাবে ওভার ইনভয়েসিংয়ের ঘটনাটি ঘটেছে? এ অভিযোগের মূলে যেতে হবে। এ উল্লম্ফনকে ব্যাখ্যা করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কখনই ফরেনসিক অডিট করেনি। করলে সমাধানের রাস্তা বের হয়ে আসত। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও