লেবু ব্যবহার করেও খুশকির সমস্যা কমছে না? ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে কী ভাবে রেহাই পাবেন?

আনন্দবাজার (ভারত) প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৬:২২

অনেকেই আছেন যাঁরা খুশকির সমস্যার জেরে গাঢ় রঙের জামা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। মূলত মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ থেকেই মাথায় খুশকির সমস্যা শুরু হয়। শুরু থেকেই যত্ন না নিলে এই সমস্যা থেকে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। কখনও ভ্যাপসা গরম, কখনও আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি— বর্ষায় আবহাওয়ায় বেশির ভাগ সময় মাথার তালু ভেজা থাকে। এর সঙ্গে বেশির ভাগ মানুষই মাথায় তেল মাখেন ও সপ্তাহে ১ দিন বা ২ দিন শ্যাম্পু করেন। এর ফলে মাথায় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকেই খুশকি কমাতে মাথায় গরম তেল লাগান, এর ফলে খুশকি কমার বদলে বেড়ে যায়।


চুল পড়ার সমস্যা কমাতে, চুলের জেল্লা বৃদ্ধি করতে চুলে তেল মাখা ভীষণ জরুরি। তবে খুশকির সমস্যা কমাতে চাইলে মাথায় তেল মাখার ব্যাপারে নিয়ম মানতে হবে। স্নানের এক ঘণ্টা আগে তেল মেখে নিন। ঘণ্টাখানেক বাদে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। মাথা পরিষ্কার রাখতে এক দিন অন্তর নিয়ম করে শ্যাম্পু করতে হবে।


অনেক সময় জটিল ত্বকের অসুখের উপসর্গ হিসেবে মাথা থেকে ত্বকের খোসা উঠে যায়। ত্বকের নীচে সিবেসাস গ্রন্থি নামে এক ধরনের গ্রন্থি থাকে। এর থেকে সেবাম নামে এক তৈলাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আমাদের চুল ও ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। কারও কারও সিবাম নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তেলতেলে মাথায় আরও তেল মাখলে সমস্যা আরও বাড়ে। বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের শরীরের নানা পরিবর্তন আসে, তার জন্যে নানা রকম হরমোন সক্রিয় থাকে। আর এই কারণেই খুশকি আর ব্রণ কমবয়সিদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস, একজ়িমা বা কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হলেও মাথা থেকে খুশকির মতো শুকনো ছাল ওঠে। তবে আপনার মাথায় সমস্যার কারণ সাধারণ খুশকি না কি অন্য সমস্যা— তা একমাত্র চিকিৎসকই বুঝতে পারবেন। খুশকি ছোঁয়াচে নয়। তবে মাথায় কোনও সংক্রমণ থাকলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই অন্যের চিরুনি ব্যবহার না করাই ভাল।


সাধারণ খুশকির সমস্যা হলে লেবু, বেকিং সোডা কিংবা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে খুশকিনাশক যে শ্যাম্পু পাওয়া যায়, সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্রনিক খুশকির সমস্যা হাত থেকে মুক্তি চাইলে দ্রুত ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। মূলত অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু দিয়ে খুশকি বিদায় করা যায়। ক্রনিক খুশকির ক্ষেত্রে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ-সহ অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও