![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.deshrupantor.com/assets/news_images/2023/08/09/se.jpg)
চাহিদা ৫ গুণ সরবরাহে হিমশিম
দেশে ডেঙ্গু রোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতেও শিরায় দেওয়ার স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। সরকারি পর্যায়ে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ থাকায় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি থেকে কিনে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করছে সরকারের ওষুধ কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। কিন্তু চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সরবরাহ করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।
ইডিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে যেখানে সব ধরনের স্যালাইন লেগেছে ৬০ লাখ ব্যাগ, অর্থাৎ মাসে ৫ লাখ ব্যাগ। গত দুই মাসে সেই চাহিদা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ব্যাগ। সে হিসাবে ডেঙ্গুর জন্য স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে হয়েছে ১০ গুণ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে স্যালাইন সরবরাহে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোকে। রাজধানীর ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব হাসপাতালে আড়াই থেকে সর্বোচ্চ ৫ গুণ পর্যন্ত স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের স্যালাইন সংকট দেখা দেয়নি। পাশাপাশি ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতেও দেড় থেকে তিন গুণ পর্যন্ত স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে।
স্যালাইনের চাহিদা বৃদ্ধি ও সরবরাহ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে আমরা সরবরাহে কুলাতে পারছি না। যেহেতু সরকারি পর্যায়ে স্যালাইন উৎপাদন হয় না, তাই বাজার থেকে সংগ্রহ করে দিতে হয়। যেসব কোম্পানি দিচ্ছে, তাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তাদের খোলাবাজারেও বিক্রি করতে হয়। সবকিছু মিলে বেশ কঠিন অবস্থা। তবে সরকারি হাসপাতালগুলো যেটুকু চাইছে, এখন পর্যন্ত সেটা দিতে পারছি, অসুবিধা হচ্ছে না।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সরবরাহে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে বা কোথাও কোনো সংকট দেখা না দেয়, সে জন্য আমরা স্যালাইন প্রস্তুতকারক কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা এখন দিনে-রাতে তিন শিফট, অর্থাৎ ৮ ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন করছে। আশা করছি এভাবে চলতে থাকলে চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।’