কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নিরাপত্তা চাহি, নিবর্তন নহে

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০১

বহুল আলোচিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ডিএসএ কার্যত বাতিল কিংবা পরিবর্তন করিয়া ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ সিএসএ নামক যেই খসড়া সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন পাইয়াছে, উহাতে সমন্বয়বাদী অবস্থান স্পষ্ট। বিদ্যমান আইনটির যেই সকল ধারা লইয়া সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিক আপত্তি ছিল, সেইগুলিতে দণ্ড হ্রাস কিংবা জামিনযোগ্যতা যুক্ত হইয়াছে। ইহার মধ্য দিয়া সরকার যদ্রূপ বিভিন্ন মহলের সুপারিশের অংশবিশেষ আমলে লইয়াছে, তদ্রূপ পূর্বেকার অনড় অবস্থান হইতেও খানিকটা সরিয়া আসিয়াছে। বিশেষত ‘মানহানিকর তথ্য’ প্রকাশের অভিযোগ প্রমাণিত হইবার ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশের পরিবর্তে শুধু জরিমানার যেই বিধান রাখা হইয়াছে, উহাতে সাংবাদিকদের হয়রানি কমিবে বলিয়া প্রত্যাশা। কিন্তু একজন সাংবাদিক কি ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিবার সামর্থ্য রাখেন? খটকা এইখানেই। দৃশ্যত আইন নমনীয় হইতেছে  মনে হইলেও, কার্যত আতংকিত হইবার কারণ বহাল রহিয়াছে কিনা– সেই প্রশ্ন ওঠা সংগত। তদুপরি প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সদিচ্ছার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে।


আমরা মনে করি, সিএসএ লইয়া প্রণিধানযোগ্য বিষয় হইতেছে, উহাও ডিএসএর অনুরূপ নিবর্তনমূলক হইয়া উঠিবে কিনা। এই বিষয়ে সমকালে উদ্ধৃত বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল যথার্থই বলিয়াছেন– ২০০৬ সালের আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা যেই প্রকারে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভিন্ন কৌশলে রহিয়া গিয়াছিল, সেই প্রকারে ডিএসএ যদি ভিন্ন কৌশলে ২০২৩ সালে সিএসএ হিসাবে আবির্ভূত হয়, তাহা হইলে উদ্বেগ দূর হইবার কারণ নাই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্প্রসারণের এই যুগে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন ও বিধিবিধানের প্রয়োজনীয়তা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু আইনের মাধ্যমে যদি নাগরিক হয়রানি বৃদ্ধি পায়; যদি সংবাদমাধ্যমের অধিকার ও কর্মপরিবেশ সীমিত এমনকি খর্ব হইবার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়; ইহা নূতন বোতলে পুরাতন পানীয় হিসাবেই প্রতিভাত হইবে। সেই কারণে নূতন আইন লইয়া সমকালের সম্পাদকীয় অবস্থান স্পষ্ট– আমরা নিরাপত্তা চাহি, নিবর্তন চাহি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও