ভেটো ক্ষমতা থাকা দেশগুলোর কারণে জাতিসংঘ অগণতান্ত্রিক
প্রফেসর ইউনূসের 'স্যোসাল বিজনেস ডে'র এই আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ ও কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। এমন একটি আয়োজনে উপস্থিত থাকা সত্যিই অত্যন্ত সম্মানের। 'যুদ্ধ, শান্তি ও অর্থনীতি—মানব জাতির ভবিষ্যৎ' বিষয়ে আমার মন্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে। আমি আশা করি, গতকাল (২৭ জুলাই ২০২৩) থেকে শুরু হওয়া আলোচনায় আমার মতামত, আমার প্রচেষ্টা কিছু যোগ করতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়ের গভীরে যাওয়ার আগে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে কিছু বলতে চাই। প্রথমত, ৮০০ কোটি মানুষ নিয়ে এই পৃথিবী জনসংখ্যার চাপে আছে। সরকারগুলো জনবিস্ফোরণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।
একটি সহজ উদাহরণ দিতে চাই। এই ৮০০ কোটি মানুষ বর্জ্য তৈরি করছে, যা নিয়ে প্রতিটি দেশের সরকার সমস্যায় পড়ছে। সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে যখন এই মানুষগুলোর খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক, বিশেষ করে গরম পোশাক এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের বিষয় আসছে।
এই সমস্যাগুলো মোকাবিলায় অব্যাহত সমস্যার মুখে পড়ার পাশাপাশি আরেকটি জটিল বিষয় সামনে আসছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে মানবজাতি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। আমরা অধিকহারে দেখতে পাচ্ছি বন্যা, সুনামি, ভূমিকম্প, বনাঞ্চলে আগুনের মতো বড় বড় দুর্যোগ।
একদিকে আমরা বর্জ্য তৈরি করে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছি, অপরদিকে অধিক পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন ও ব্যবহারে প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে। এর পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ে প্রভাব পড়ছে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে। এটি আমাদের অস্থিতিশীল কার্যক্রমের দিকে পরিচালিত করছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন আরও ত্বরান্বিত করছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি দুষ্টচক্র।