![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2023-08%252F3ef62fe2-76dd-439b-a6f6-8a6860237555%252FMoulavibazar_DH0537_20230806_sap_kata_moulvibazar__4_.jpg%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.1)
সাপে কাটলে ওঝা নয়, হাসপাতালেই ভরসা বাড়ছে
মৌলভীবাজার জেলায় আগে সাপে কাটলে অনেকে ওঝার শরণাপন্ন হতেন। ভরসা করতেন ওঝার ঝাড়ফুঁক ও তাবিজকবচে। তবে পরিস্থিতি এখন অনেক বদলে গেছে। এখন মানুষ বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসায় ভরসা রাখছেন। সাপে কাটার পর আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত সাত মাসে মৌলভীবাজার জেলায় ১৫৬ জন সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনকে দিতে হয়েছে ‘অ্যান্টি ভেনম’। অন্যদের প্রাথমিক ও সাধারণ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার হাওর-বাঁওড়, বনজঙ্গল ও চা-বাগানঅধ্যুষিত। একসময় গভীর বনজঙ্গলের দিকে মানুষের আনাগোনা ও বসতি কম ছিল। সাপে কাটার ঘটনা কম ছিল। হঠাৎ দু–একজনকে সাপে কেটেছে শোনা গেছে। তখন রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হতো। এসব ক্ষেত্রে বিষধর সাপের ছোবলে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়ই মারা গেছেন। তারপরও মানুষ ঝাড়ফুঁকেই ভরসা রেখেছেন। সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসাসেবাও এখনকার মতো সহজলভ্য ছিল না। সাপে কাটা রোগীর যে হাসপাতালে চিকিৎসা হয়, এই ধারণাও অনেকের ছিল না। অনেকেই মনে করতেন ওঝা দিয়ে শরীর থেকে সাপের বিষ নামানোই রোগীকে বাঁচানোর একমাত্র উপায়। কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলেছে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বর্তমানে কাউকে সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- চিকিৎসা
- হাসপাতালে
- সাপের কামড়
- ওঝা