ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যয় কমান

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

দেশের ক্রমাবনতিশীল ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিশেষত বেসরকারি হাসপাতালসমূহের কর্তৃপক্ষ তাহাদের মুনাফালিপ্সা চরিতার্থকরণের মওকা খুঁজিয়া পাইয়াছে বলিয়া মনে হইতেছে। সোমবার প্রকাশিত সমকালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, রাজধানীর অন্তত ২০টি বেসরকারি হাসপাতালে জটিল ডেঙ্গু রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপারেসিস প্লাটিলেটে ব্যাগপ্রতি ২৫ সহস্র হইতে ২৮ সহস্র টাকা লাগিতেছে, যথায় সরকারি হাসপাতালে একই চিকিৎসার জন্য দেড়-দুই সহস্র টাকাই যথেষ্ট। উপরন্তু সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর সাধারণ চিকিৎসায় রোগীপ্রতি ব্যয় ২০-২৫ সহস্র টাকা হইলেও, বেসরকারি হাসপাতালে উহা লক্ষ টাকার নিম্নে মিলে না। একই রোগের চিকিৎসা ব্যয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে বিশাল ব্যবধান শুধু অযাচিতই নহে, অমানবিকও বটে।


 তবে এই সমস্যার জন্য হাসপাতালসমূহের মালিকদের মুনাফালিপ্সা যতটা দায়ী, উহাদের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহ তদপেক্ষা কম দায়ী নহে। যেমন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফুল হকের মতে, অ্যাপারেসিস প্লাটিলেট কিটের দাম এই বৎসর ইতোমধ্যে দুইবার বৃদ্ধি করিয়া ১৪ সহস্র টাকা করা হইয়াছে; যাহার সুযোগ লইয়াছে বেসরকারি হাসপাতালসমূহ। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নাকি অতি গুরুত্বপূর্ণ কিটের এই মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জ্ঞাতই নহে, যদিও প্রচলিত আইন অনুসারে সংস্থাটির অনুমোদন ব্যতিরেকে দেশে কোনো ঔষধ বা চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রস্তুত ও আমদানিকারক সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করিতে পারে না।


এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কর্মসূচির আওতায় গত বৎসর রক্তের ১৭টি পরীক্ষার দর ৫০০ হইতে ২ সহস্র টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হইলেও প্রতিবেদনমতে, এই দরে একটি পরীক্ষাও সম্পন্ন হইতেছে না বেসরকারি হাসপাতালে। উপরন্তু ডেঙ্গুর ব্যাপকতায় সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা ব্যয় ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হইলেও বেসরকারি হাসপাতালের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নাই। উহারই সুযোগ লইয়া বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ রোগীর নিকট হইতে যদৃচ্ছা চার্জ আদায় করিতেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও