সব কেড়ে নিয়ে পদ্মা ফিরিয়ে দিয়েছে উজাড় করে
একসময় যেখানে ছিল ধু ধু বালুচর, সেখানেই এখন সবুজের সমারোহ। বন্যার গ্রাসে পদ্মায় বিলীন হয়ে যাওয়া জমি আবার জেগে ভরে উঠেছে ফল আর ফসলে।
নাটোরের লালপুর উপজেলায় জেগে ওঠা পদ্মার ১৮টি চরে এখন কেবল দেশি-বিদেশি নানা ফল ও শাকসবজিই চাষ হচ্ছে না; পালন করা হচ্ছে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল, ভেড়া ও মহিষ।
চর ঘুরে দেখা গেল, বিস্তীর্ণ জমিতে ধান-পাটের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে ভুট্টা, আখ, কুমড়া, কলা ও বাদাম। রয়েছে আম-পেয়ারার বাগানও। আধুনিক পদ্ধতির কৃষি, বিদ্যুৎ সংযোগ আর ইন্টারনেট বদলে দিয়েছে চরের পুরনো চেহারা।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আরাজী বাকনা চরের মেঠোপথ ধরে এগোতেই দেখা মেলে কুদ্দুস মোল্লার।
তপ্ত রোদে ছাতা মাথায় ভেড়ার পালের তদারকি করছিলেন তিনি। জানালেন, তার পালে ৭০টি ভেড়া রয়েছে। কৃষিকাজের পাশাপাশি ভেড়া পালেন তিনি। প্রতি বছর তার পালে ৫০টি করে ভেড়া বাড়ে।ভেড়া পালন আর কৃষিকাজ করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।