ট্রাম্পের অভিযুক্তি পালটে দিল ৫০ বছরের নজির
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হওয়া অভিযুক্তি শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নস্যাত্ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। এই শুনানিই ট্রাম্পের প্রথম কোর্টরুম অভিজ্ঞতা ছিল না। এ বছরেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথির অপব্যবহারের অভিযোগ ফেডারেল কোর্টে আনা হয়েছে। সঙ্গে ২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণার সময় অ্যাডাল্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদানে জড়িত থাকার জন্য নিউ ইয়র্কে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ট্রাম্পের পুনরায় অভিযুক্ত হওয়ার ব্যাপারটি আসলে এই মুহূর্তের ঐতিহাসিক তাত্পর্যকে কোনোভাবেই ছোট করে না। কেননা, এখন পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগের মধ্যে নিশ্চিতভাবে এবারের অভিযোগটাই সবচেয়ে গুরুতর। সরকারকে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র, একটি সরকারি দাপ্তরিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভোটারদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অধিকার হরণ করতে চেষ্টা করা—এই চার অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প।
একটি বৈধ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং সেই ফলাফল সক্রিয়ভাবে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে ট্রাম্প অ্যামেরিকার গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। গোপন নথির অপব্যহারসহ নতুন এই অভিযুক্তির মাধ্যমে দেশটির বিচার বিভাগের সাবেক রাষ্ট্রপতি জেরাল্ড ফোর্ডের প্রতিষ্ঠিত নজির ভেঙে দিয়েছে। ১৯৭৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জেরাল্ড ফোর্ড সাবেক রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনকে ওয়াটারগেটে সংঘটিত যে কোনো অপরাধের জন্য ক্ষমা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস যখন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহিতা দাবি করে, নিক্সনকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়, ফোর্ড তখন জোর দিয়ে বলেছিলেন, যে কোনো ব্যক্তি, এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতিও আইনের ঊর্ধ্বে নন।