বারবিল্যান্ড আমেরিকান সুলতানার স্বপ্ন
আমি ছোটবেলা থেকেই হলিউডের ভক্ত। সহজলভ্যতার কারণে হলিউডের প্রচুর আজেবাজে ছবিও দেখে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বারবি মুভি কোনোটাই দেখা হয়নি। তবে ডিজনির কয়েকটা রিসেন্ট ছবি দেখে বুঝেছি এখন ট্রেন্ড হচ্ছে গার্ল পাওয়ারের। নারীবাদের বাজার যেহেতু ভালো, হলিউড তাকে ক্যাশ করবে না, এ হতেই পারে না। উইমেন্স ফিল্ম বলে একটা জরা তো অলরেডি আছেই, কিন্তু বারবি শুধু আরও একটা নারী প্রটাগনিস্ট নিয়ে তথাকথিত নারীর গল্প বলা ছবি নয়। এর পেছনের কলকাঠিগুলোও খুব মজার।
ব্যাখ্যা করছি, এই বছর জুলাই মাসে একই দিনে (২১ জুলাই, ২০২৩) দুটি ছবি ওপেনহেইমার আর বারবি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রচুর মানুষ দুটো ছবিই দেখেছে, কিন্তু সবাই তো একদিনে দুই ছবি দেখবে না। ফলে বেশ একটা প্রতিযোগিতা আমদানি করা গেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে বারবিহেইমার। ওপেনহেইমার একটা বায়োপিক আর বারবি হচ্ছে কমেডি ফলে এই প্রতিযোগিতার কোনো মানেই হয় না। ওপেনহেইমার না দেখেও বলতে পারি, এটা আমাকে দেখতে হবে একা, কানে হেডফোন গুঁজে এবং সাবটাইটেলসহ, কিন্তু তারপরও ছবির অর্ধেক মাথার ওপর দিয়ে যাবে, ছবি সম্পর্কে এটা-ওটা পড়ে বুঝে তারপর আবার দেখতে হবে। আমি বলছি না, সবারই এই দশা হবে, কিন্তু ক্রিস্টোফার নোলানের শেষ ছবি টেনেটের ক্ষেত্রে আমার এমনটাই হয়েছিল।