আবাসনে লাগামছাড়া ব্যয়, অভিযোগের অন্ত নেই ক্রেতার
ঢাকার মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করছেন আহমেদ। স্ত্রী ব্যাংকার। এই দম্পত্তির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ব্যস্ত নগরে নিজের একটি আবাসন। এ নিয়ে দুজনের জমানো টাকা আর ব্যাংক লোনের মাধ্যমে চলমান একটি আবাসন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। ডাউন পেমেন্টের ৫০ লাখ টাকার সঙ্গে আরও ২৪ কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা। মোট ১২শ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ হয় এক কোটি ২০ লাখ টাকা। যথাসময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ হলেও প্রকল্প শেষ হতে সময় লাগে অতিরিক্ত এক বছর।
এরই মধ্যে কয়েক ধাপে দাম বেড়ে যায় নির্মাণসামগ্রীর। রেকর্ড দামে বিক্রি হতে থাকে রড-সিমেন্ট-ইট-পাথর। প্রতি স্কয়ার ফুটে অতিরিক্ত দেড় থেকে তিন হাজার পর্যন্ত খরচ বেড়ে যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। পরে ক্রেতার কাছে বাড়তি দাম চেয়ে বসে কোম্পানি। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।
এমন ঘটনা বেশি ঘটে কোভিড পরবর্তীসময় ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে। বাড়তি দাম আর বর্ধিত দাম নেওয়া না নেওয়া নিয়ে বাঁধে বিপত্তি। এ নিয়ে অভিযোগ আসে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা রিহ্যাবে। বছরের অন্য সময় অভিযোগ এলেও এ দুই সময়ে অভিযোগের পাল্লা বেশি ভারী।
আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা ফ্ল্যাট কেনার জন্য অর্ধ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট করি। পরে কিস্তিতে সব টাকা পরিশোধ করেছি। এর মধ্যে এক বছর বেশি সময় নিয়েছে আবাসন কোম্পানিটি। নির্মাণ উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন বেশি দাম চাচ্ছেন।’