![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2023-03%252F81ca639d-5f86-4ac3-adb5-60fde4f109d6%252Fc29e6fd2_fc63_4c89_a02b_4b7d88cf656c.png%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26dpr%3D1.0%26q%3D70%26w%3D640)
‘ঘটনার’ সময় কেউ মৃত, কেউ কারাবন্দী, কেউ বিদেশে, তবু তাঁরা আসামি
দা, লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে হামলার পর ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো—এমন একটি মামলায় আসামির তালিকায় নাম রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেনের। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে গত রোববার ঢাকার গেন্ডারিয়া থানায়। আর মামলায় উল্লেখ করা ঘটনাটি গত শনিবারের।
মামলায় যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি সত্য হয়ে থাকলে সাত মাস আগে মারা যাওয়া শওকত হয়তো ‘গায়েবিভাবে জীবিত’ আছেন বলে জানান তাঁর চাচা আবুল কাসেম। গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ হৃদ্রোগে তাঁর ভাতিজা শওকত মারা যান। তাঁকে পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ এলাকার একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত কারও নামে এ রকম মামলা দেওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই মামলায় মৃত শওকত ছাড়াও আসামিদের তালিকায় কারাবন্দী ব্যক্তি এবং দেশের বাইরে অবস্থান করা দুজনের নাম রয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গেন্ডারিয়ার ডিস্টিলারি রোডের মুরগীটোলা মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ওপর দা, লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন শওকতসহ বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটান। এতে আওয়ামী লীগের সাতজন নেতা আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে ইট ছুড়ে পুলিশকেও আহত করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা শাহ আলম। স্থানীয়ভাবে তিনি পুলিশের তথ্যদাতা (সোর্স) হিসেবে পরিচিত।