স্বাধীনতা আন্দোলনের এক কিংবদন্তি

সমকাল কামাল বারি প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০১:০১

মহৎ কর্মের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয় জীবনে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে যারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ও থাকবেন, তাদের মধ্যে অন্যতম দেশপ্রেমী কর্মবীর বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্থক উপাচার্য, স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। স্বদেশ এবং বিদেশে বহুমুখী কর্মপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন তিনি। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বিচারপতি চৌধুরী ছিলেন বিশাল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন সৎ বিচারক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, রাষ্ট্রপতি, সংগঠক ও মননশীল সম্পাদক। সর্বোপরি প্রবাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা অকুতোভয় এক সেনানী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি।


তাঁর জন্ম ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে। পিতা আবদুল হামিদ চৌধুরী তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদের নির্বাচিত স্পিকার ছিলেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়নকালে ১৯৩৯ সালে তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই কলেজ থেকে তিনি বিএ পাস করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ এবং বিএল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালে লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে ফিরে এসে আইন ব্যবসায় যুক্ত হন। ১৯৬১ সালে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। বিচারপতি চৌধুরী ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগ দিতে জেনেভা যান। এর মধ্যে ২৫ মার্চ কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এর আগেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র নিহত হন। উপাচার্য হিসেবে তাঁর করণীয় সম্পর্কে যথেষ্ট প্রজ্ঞাবান আবু সাঈদ চৌধুরী খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবকে পত্র দিলেন– ‘আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর গুলি চালনার পর আমার আর ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও