স্নায়ুযুদ্ধে রাজনীতির সাইডলাইন সাফা
নির্বাচনের একটা খসড়া রোডম্যাপ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। তফসিল অক্টোবরের আগে নয় উল্লেখ করে আগাম ভোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন সিইসি। রাজনীতি ও নির্বাচনের ডামাডোলে চারদিকে এখন কেবল আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। প্রতিদিনই তাদের কর্মসূচি। বাদবাকিদের ঝরে পড়ার মতো দশা। জাতীয় পার্টি-জামায়াতসহ সাইড লাইনের দলগুলো আরও সাইডে চলে গেছে। সিপিবি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির মতো বাম গলি প্রায় অন্ধকারে। তাদের সময় কাটছে সময় বুঝে সাইড খুঁজে নেওয়ার পাটিগণিতে। নতুন বিশ্বপরিস্থিতিতে তাদের বিদেশি প্রভুদের অ্যাটেনশন ভিন্ন দিকে। কোনো না কোনোভাবে বড় দুদল বিএনপি-আওয়ামী লীগেরই পিঠ মুছছে তারা।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বেড়াজালে বাংলাদেশও। ইনক্লুসিভ নির্বাচনের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর। নির্বাচনের সঙ্গে শর্ত হিসেবে জুড়ে দিচ্ছে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ইত্যাদি শব্দ। পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিনিধিদের সিরিজ আনাগোনা গত ছয়-সাত মাস যাবৎ। সংশ্লিষ্টদের প্রতি নানা আহ্বান তাদের। আর সংশ্লিষ্ট মানে প্রধানত বিএনপি-আওয়ামী লীগ। মাঝেমধ্যে টুকটাক সিরিয়াল পাচ্ছে জাপা-জামায়াত। এসবের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মেইন স্ট্রিম, সাইডলাইন, এক্সট্রা শক্তি অনেকটা পরিষ্কার। নির্বাচন বাংলাদেশের। তাড়না বিদেশিদের। বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এরমধ্যেই বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবার নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার শঙ্কাও তাদের। এ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে সেই আহ্বানও জানাচ্ছে। স্যাংশনের পর দিয়েছে ভিসানীতিও। বলা হয়েছে, ভিসানীতির লক্ষ্য-উদ্দেশ্যও সুষ্ঠু নির্বাচন।