রাষ্ট্র ও মানব পাচার
বিশ্বব্যাপী আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংঘবদ্ধ অপরাধগুলোর মধ্যে মাদক কারবার ও অস্ত্র পাচারের পরেই মানব পাচারের স্থান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশেও মানব পাচারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউএনএইচসিআর-এর মতে, গত বছর মোট ১৫ হাজার ২২৮ জন বাংলাদেশি অনিয়মিত উপায়ে মধ্য ভূমধ্যসাগর রুটে ইতালিতে যায়। যার মধ্যে ৯৮ শতাংশই লিবিয়া হয়ে, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৭ হাজার ৩৯০ জন বেশি।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘মানব পাচার রিপোর্ট ২০২৩’ অনুযায়ী, সরকারের হিসাব অনুযায়ী দেশে ২৪০ জন পাচারের শিকার, যার মধ্যে ১১৫ জন যৌন পাচার, ৯২ জন জোরপূর্বক শ্রম ও ৩৩ জন অন্যান্য ধরনের পাচারের শিকার। একই সময়ে এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, কমপক্ষে ৬ হাজার ৭৮১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে ও তাদের অধিকারগুলোর প্রচার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ৩০ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব মানব পাচারবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আমাদের দেশেও এই দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য–‘পাচারের শিকার সকলের পাশে থাকব, বাদ যাবে না কেউ’।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মানব পাচার
- মাদক পাচার
- জাতিসংঘ