![](https://media.priyo.com/img/500x/https://samakal.com/uploads/2023/07/online/facebook-thumbnails/ashura-a-samakal-samakal-64c5f6bc6f2a6.jpg)
পবিত্র আশুরা: বিধান ও ঐতিহাসিকতা
বিশ্বসভ্যতা ও মানবেতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ও অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হচ্ছে পবিত্র আশুরা। সৃষ্টির সূচনালগ্ন হতে বর্তমান ইরাকের অন্তর্গত কারবালা প্রান্তরে ফোরাতের তীরে ৬১ হিজরির ১০ মহর্রম তারিখে সংঘটিত পৈচাশিক, মর্মন্তুদ ও বিয়োগান্ত ঘটনা পর্যন্ত বিশ্ব-ইতিহাসের নানান বাঁকে সংঘটিত হয়েছে তাৎপর্যমণ্ডিত অজস্র ঘটনা। প্রতিটি ঘটনায় সমসাময়িক সমাজ-সভ্যতা নতুন নতুন বার্তা পেয়েছে, বুদ্ধিমানেরা সেসব ঘটনা থেকে জীবন-ঘনিষ্ঠ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং গোটা বিশ্বলোক কোনো না কোনোভাবে একেক ঘটনা থেকে একেক ধরনের পয়গাম নিয়ে সভ্যতার উৎকর্ষ বিধানে কাজে লাগিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সংঘঠিত ঐসব ঘটনার কোনোটি হৃদয়বিদারক, কোনোটি চমকপ্রদ আবার কোনোটি বর্বরতা, অমানবিকতা আর নিষ্ঠুরতায় আচ্ছন্ন। তবে মানবেতিহাসে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অবতারণ হয়েছে তার সবগুলোর ক্ষেত্রেই জানা-অজানা গভীর তাৎপর্য, অনুপম শিক্ষা আর মহান ঐতিহাসিকতা রয়েছে। কোনো কোনো বর্ণনা মতে, আশুরা দিবসে মহান আল্লাহ তাঁর নির্বাচিত দশজন নবি-রাসুলকে বিশেষ অনুগ্রহ ও উন্নত মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন বিধায় এ দিবসকে ‘আশুরা’ হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বলা যায়, পরিকল্পিত বা কাকতালিয় হলেও বিশ্ব-ইতিহাসের ঘটনাসমগ্রের উল্লেখযোগ্য স্মরণীয় ঘটনাসমূহ সংঘটিত হয়েছে পবিত্র আশুরা তথা মহর্রম মাসের দশম তারিখে। গোটা বিশ্ববাসী বিশেষ করে মুসলিম জগতের কাছে খুবই পবিত্র ও তাৎপর্যময় আশুরার বিধান এবং এ দিবসের শিক্ষা ও ঐতিহাসিকতাই এখানে তুলে ধরা হবে।