কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘পুতুল, আবিদের খবর কিছু জানো, ও তো কক্সবাজারে ডুবে গেছে’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১৫:০২

১২ বছর আগের এই দিনে কক্সবাজারের সাগরে ডুবে মারা যান ক্লোজআপ তারকা আবিদ শাহরিয়ার। এই মৃত্যু সেদিন হতবাক করে পরিবার ও তাঁর বন্ধুবান্ধব সবাইকে। প্রতিবছর এই দিনে তাঁকে অনেকে নানাভাবে স্মরণ করেন। তাঁর সংগীতশিল্পী বন্ধু সাজিয়া সুলতানা পুতুল যেন আবিদের সেই অকালমৃত্যুর যন্ত্রণা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই দিনে তাঁকে নিয়ে নানা স্মৃতিকথা লিখে থাকেন। আজও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি।


আবিদ ও পুতুল খুবই ভালো বন্ধু ছিলেন। একসঙ্গে উপস্থাপনাও করতেন। আড্ডাবাজি আর ঘুরে বেড়াতেও ভালোবাসতেন তাঁরা। পুতুলের সেই বন্ধু আজ ১২ বছর পৃথিবীতে নেই। নিজের ফেসবুক দেওয়া পোস্টে এভাবেই লিখলেন—
‘আজ থেকে ১২ বছর আগের কথা...। ২৯ জুলাই ২০১১, সন্ধ্যা ধেয়ে যাচ্ছে রাতের দিকে। রাতে “কলের গান” অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় যাব, তাই সাজছি। হাতে ধরা কাজল পেনসিল, এক চোখে কাজল পরেছি, অন্য চোখটা বাকি তখনো। একটা ফোন এল।
পুতুল, আবিদের খবর কিছু জানো?
না তো, কেন?
ও তো কক্সবাজারে ডুবে গেছে।
কী বলেন না বলেন! ও কক্সবাজার গেল কবে?
একটা ফোন করে দেখো তো ওকে।
এখনই দেখছি। ধুর এই রকম একটা আজগুবি খবর কে দিল আপনাকে?’
ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এরপর পুতুল বারবার আবিদের নম্বরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনোভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছিল না। ফোনের রিং বেজেই চলছে। কিন্তু আবিদ তা ধরছেন না।


সেদিনের সেই ঘটনার বর্ণনা এভাবেই দিলেন পুতুল। বললেন, ‘আবিদের ফোন তো বেজে যাচ্ছে! ডুবে যাওয়া মানুষের ফোন বাজে নাকি? হাসলাম মনে মনে। আমার কান তৈরি, এখনই সে তার স্বভাবসুলভ দুষ্টু কণ্ঠে ফোনটা তুলে বলবে, “সুলতানা, কী খবর?” দুবার ফোনটা বেজে চলল, দ্বিতীয়বার কিন্তু আমি একটু এলোমেলো। তুলল না এবারও। একটু থামলাম, কী যেন ভাবলাম। তৃতীয়বার কেন যেন ভয় লাগল। একটিবার বাজতেই ওপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলো সংযোগ। মনে মনে ঝগড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফোন না ধরার বাতিক আছে তার। নাছোড় হয়ে গেলাম এবার, আবার কল। এবার কল হতে না হতেই কেটে গেল। বুকের ভেতর ক্যাচ করে উঠল। হাত–পা অসাড় লাগছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও