সুন্দরবন ও আমাদের অর্থনীতি
আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। এ দিবসের তাৎপর্য বিচার-বিশ্লেষণে গেলে প্রথমেই উঠে আসবে বঙ্গোপসাগরের তীরে ও বিশ্বের সেরা গহিন গরান বন (mangrove forest) সুন্দরবনের নীড়ে গড়ে ওঠা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ বাংলাদেশ যেন প্রকৃতির এক বিচিত্র বিলাস। তার মাথার ওপর হিমালয় পর্বত, সাইবেরিয়ার হিমবাহ ঠেকিয়ে চলে অবিরত, পায়ের নিচে বঙ্গোপসাগর তার ধোয়ায় পা প্রতিনিয়ত। সে কারণেই কর্কট ক্রান্তিরেখার ওপর দাঁড়িয়েও চরম নয় তার আবহাওয়া, নাতিশীতোষ্ণ, মৌসুমি বায়ুর বরমাল্য বরিষণে বাংলা সতত সবুজ শস্যশ্যামল।
আর তাই দ্বিজেন্দ্রলালের কথাই ঠিক- ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’, তার সঙ্গে এ কথাও আরও ঠিক ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।’ প্রকৃতি বাংলাদেশ আর তার তাবৎ বাসিন্দাদের ভালোবাসা দিয়ে রানিও করেছে, আবার ভিখারিও বানিয়েছে। তাদের হঠাৎ এমন করে জাগিয়ে দেয় যে ‘জ্বলেপুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়’ আবার হঠাৎ তাদের গহিন ঘুমের দেশেও পাঠায়। তাদের অবস্থা পদ্মার পলিমাটির মতো ‘পানিতে ভিজে নরম কাদা আবার শুকিয়ে গেলে কঠিন খটখইট্টা।’ অসম্ভব চাহিদা অথচ অল্পতে তুষ্ট, সময় পেলে অকর্মণ্য অলসতায় সময় করে পার, ‘আমার বলার কিছু ছিল না’ বলে ফ্যালফ্যাল করে তাকানোয়, অন্যের ওপর দোষ চাপানোয়, আক্ষেপ বেদনা প্রকাশেই প্রাণান্ত, সৃজনশীলতায় ধৈর্যের বড়ই অভাব। সাফল্যকে স্থায়ীকরণে- টেকসইকরণে মনোযোগে বিভ্রান্তি, আবার ব্যর্থতায় ম্রিয়মাণ-উজ্জ্বল, বাংলাদেশের ক্রিকেট দল হঠাৎ, যেমন ঝলসে ওঠে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সুন্দরবন
- বাঘের সংখ্যা