স্ট্রোক রোগীর সুস্থতায় পরিচর্যা

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১০:২৪

স্ট্রোক রোগীর সুস্থতায় পরিচর্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যে স্ট্রোক হয়, তার চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক থ্রম্বোলাইসিস আধুনিক ও জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা। এই প্রক্রিয়ায় একটি ওষুধ ব্যবহার করে মস্তিষ্কের জমাটবদ্ধ রক্ত গলিয়ে রক্ত চলাচল আবার স্বাভাবিক করা হয়। তবে এই চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সময়। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যাওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে এই চিকিৎসা দিতে হয়। তার কারণ হলো, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। রোগীকে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে নিয়ে এলেও প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশেষত সিটি স্ক্যান ছাড়া চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয় না। তাই এমন হাসপাতালে নিতে হবে, যেখানে পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছে।


পরিচর্যা : স্ট্রোক রোগী কিছুদিনের মধ্যেই আবার স্ট্রোকের শিকার হতে পারেন তাই পরিচর্যার পাশাপাশি পুনরায় স্ট্রোক যেন না হয়, সচেতন থাকা। স্ট্রোকের রোগীরা প্রায়ই খাবার খেতে বা গিলতে পারেন না, ফলে অপুষ্টির শিকার হন। তাদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা। কারও কারও নাকে নল দিয়ে তরল খাবার দিতে হয়। জোর করে খাবার গেলাতে গেলে ফুসফুসে খাবারের কণা চলে গিয়ে মারাত্মক অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া হতে পারে। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকলে বেড সোর না হয়, সে জন্য বিশেষ বিছানা, বারবার অবস্থান পরিবর্তন করা। পায়ের ধমনিতে রক্ত জমা বা ডিভিটি হয় কি না, লক্ষ্য রাখা। অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তাদের পরিচ্ছন্নতায় নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে ক্যাথেটার ব্যবহার করতে হয়। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হাত-পায়ের শক্তি ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাড়িতে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দেওয়া। সন্ধির জড়তা কাটাতে ব্যায়াম দরকার। স্ট্রোকের পর পরিচর্যার অন্যতম লক্ষ্য হলো রোগীকে স্বাবলম্বী করে তোলা। কথার জড়তা কাটাতেও ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত স্ট্রোকের চিকিৎসা নির্ভর করে এর প্রকারভেদের ওপর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও