ফাঁসির আগে শেষ যে কথা বলেছিলেন মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় একমঞ্চে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিট থেকে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৫৫) ও জাহাঙ্গীর আলমকে (৩৫) ৩০ মিনিট দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।
এর আগে রাত ৯টার দিকে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি দুই আসামিকে জানিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এর পর তাদের গোসল করিয়ে খাবারের বিষয়ে শেষ ইচ্ছা আছে কিনা- জানতে চাওয়া হয়। পরে কারা মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম তাদের তওবা পড়ান। এর পর ১০টার আগেই তাদের ফাঁসির মঞ্চের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে বাইরে মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ফাঁসির আগে দুই আসামি ফিজিক্যালি ১০০% ফিট ছিল। আমার ইমাম হিসেবে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে তওবা পড়ানোর জন্য যে দায়িত্ব ও কর্তব্য দেওয়া হয়, আমাকে তারা সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার জন্য যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। তারা (দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি) আমার সঙ্গে সুস্থ এবং সাবলীলভাবে তওবা, ইস্তেগফার এবং কালিমা পড়েছে এর পর আমি তাদের জন্য দোয়া করে আমার কর্তব্য পালন করে চলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, তারা নামাজ পড়ার সুযোগ চেয়েছিল। তাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মহিউদ্দিন সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়েছেন। এ ছাড়া কারও মধ্যে কোনো উত্তেজনা ছিল না।