অফিসার ও স্পেশাল ডিউটি

দেশ রূপান্তর ড. এম এ মোমেন প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১০:২১

সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যখনই হোয়াইট হাউজে মনিকা লিউনস্কির সান্নিধ্য গ্রহণ করতেন সে সময় হঠাৎ তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যেন আবির্ভূত না হতে পারেন কিংবা আবির্ভূত হলেও তার আগে যেন প্লেবয় প্রেসিডেন্ট নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা। এটাই ছিল তার স্পেশাল ডিউটি। বাংলাদেশের একজন কবি রাষ্ট্রপ্রধান নিয়েও এমন গল্প চালু ছিল।


সাধারণভাবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে (ভারতে নয়) আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন সোপানের যেসব কর্মকর্তাকে পরিবর্তিত সরকারের কীর্তন গাওয়া কর্মকর্তারা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন রাষ্ট্র ও জনস্বার্থের দোহাই দিয়ে তাদের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি করানো হয়। চেয়ার-টেবিল নথিপত্র ইত্যাদি তাদের থাকে না। একটি বারোয়ারি হাজিরা খাতায় তাদের নিত্য হাজিরার কথা বলা হলেও সে খাতার দেখা পাওয়া দুর্লভ ব্যাপার। তবে মাসের শেষভাগে বেতন বিলে দু-তিনটি সই দিয়ে আসতে হয়। যারা মনে করেন পরবর্তী এক বছরেও ওএসডিশিপ প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই তারা এক ডজন বেতন বিল একবারেই সই করে আসেন। কষ্ট করে এই সইটুকু করা ছাড়া ওএসডির আর কোনো কাজ নেই। তারা অল্পদিনের মধ্যেই বুঝে যান চেয়ার টেবিলসর্বস্ব তাদের ব্যাচমেটরা ‘স্যার ডেকেছেন’ এমন দোহাই দিয়ে তাদের এড়াতে চেষ্টা করেন, তখন পারতপক্ষে ওমুখী হন না। একালে ওএসডিকরণের বাড়াবাড়ি অনস্বীকার্য, কিন্তু সেকালেও তা ছিল।


১৯৫৬ সালের সিএসপি পরীক্ষায় প্রথম স্থানের অধিকারী কাজী ফজলুর রহমান মোটেও পাকিস্তানে আটকেপড়া অফিসার ছিলেন না, বাংলাদেশে থেকেই বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের দুই-তৃতীয়াংশ সময় প্রধানমন্ত্রী চাওয়া সত্ত্বেও চেয়ার-টেবিলে বসতে পারেননি; কারণ তখনকার সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাইয়িদ হোসেন নামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির শুভদৃষ্টি তার ওপর পড়েনি, আর শুভদৃষ্টিতে পড়ার বাঞ্ছা নিয়ে এই কর্মকর্তা তার দরবারে হাজিরাও দেননি। সব আমলেই এমন দু-একজন বীরত্বপূর্ণ ব্যক্তির দেখা মেলে। এই লেখাটিতে একজন সিএসপি কর্মকর্তার তথ্য সচিব পদ থেকে দুবার ওএসডি হওয়ার বৃত্তান্ত তুলে ধরা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও