পা থাকুক সংক্রমণমুক্ত
বর্ষাকালে ত্বক-চুল ভালো রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে এই সময়ে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। এ কারণে বর্ষা আসতেই প্রায় প্রত্যেকেই মুখের বিশেষ যত্ন নিতে শুরু করেন। শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও যে একটু যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, সেটি অনেকেরই খেয়ালই থাকে না।
বর্ষার সময় পায়ের বেশি করে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, কারণ বৃষ্টির পানি বা রাস্তাঘাটের নোংরা-আবর্জনা পায়েই বেশি লাগে। এ কারণে এ সময় পায়ে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই পায়েরও বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। এজন্য ঘন ঘন পার্লারে গিয়ে ম্যানিকিওর করানোর দরকার নেই। বাড়িতেই সামান্য কিছু নিয়ম মেনে পায়ের যত্ন নিতে পারেন। বর্ষায় কীভাবে পায়ের যত্ন নেবেন তা জানিয়েছেন রাজধানীর ধানমন্ডির রাজিয়াস বিউটি পার্লারের কর্ণধার রাজিয়া সুলতানা।
মসুরের ডাল বাটা ও গ্লিসারিন: মসুরের ডাল বাটার সঙ্গে গ্লিসারিন লাগিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। প্যাকটি ১০ মিনিট পায়ে লাগিয়ে রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পুরো বর্ষাকাল এভাবে পায়ের যত্ন নিয়ে সংক্রমণের হাত থেকে পা রক্ষা করতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে পায়ের দুর্গন্ধও দূর হবে। সময়োপযোগী জুতা ব্যবহার: বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাটে কাদাপানি জমে যায়। এতে পা নোংরা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি বৃষ্টিতে পা ভিজে অনেক সময় ফুসকুড়ি, চুলকানির মতো নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে।
বর্ষাকালে পরতে হবে পানিনিরোধক জুতা। বৃষ্টিতে ভেজা জুতা পরে থাকা ঠিক নয়। প্রয়োজনে প্রতিদিন আলাদা জুতা ব্যবহার করতে হবে। এ সময় পাঢাকা জুতার বদলে হাওয়াই ফ্যাশনেবল চটি বা স্যান্ডেলের দিকে নজর দিতে হবে। এমন আবহাওয়ায় রাবার বা প্লাস্টিকের জুতা পরলে বেশি ভালো হয়। বন্ধ কাপড়ের জুতা বা স্যান্ডেল পরা এড়িয়ে চলুন।
পা শুকনো রাখা: কোনো কারণে বৃষ্টির পানিতে পা ভিজে গেলে দ্রুত শুকিয়ে নিতে হবে। পা ভেজা থাকলে দুর্গন্ধ হওয়া, ফুলে যাওয়া, ফাটল ধরা, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে অফিসে পৌঁছে বা বাড়ি ফিরে পা শুকনো করে মুছে নিতে হবে। বেশির ভাগ সময়ে পা শুষ্ক রাখার চেষ্টাই করুন। প্রয়োজনে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার পায়ে লাগিয়ে নিতে পারেন।
লবণপানি ব্যবহার: বর্ষাকালে গরম পানিতে লবণ দিয়ে পা পরিষ্কার করতে পারেন। এতে অনেকটা আরাম পাবেন।