ক্ষমতার দৈত্য ঠেকানোর রাস্তা কোথায়?
কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন ‘আমরা এমন একটা পঙ্গু সমাজে বসবাস করছি যেখানে ভালো মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারছে না, রাজনীতি বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে,... আমাদের পূর্বসূরিরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, কোনো ক্ষমতাধর দৈত্য নয়।’
নির্বাচন সামনে। ধরা যাক, বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের আমলের মতো অবাধ নির্বাচন হলো। কিন্তু দেখা গিয়েছিল সেবারও প্রধান দুই জোটই প্রার্থী মনোনয়নের বেলায় টাকাওয়ালাদেরই তো মনোনয়ন দিয়েছে। অর্থাৎ মনোনয়ন বাণিজ্য ঠেকানো যায়নি। ফলত, প্রশ্ন জাগে যে, কোনো জায়গা থেকে আমাদের শুরু করতে হবে?
বলা হয়, এ দেশের জনগণ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন করেছে সবচেয়ে বেশি, কিন্তু নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করেছে সবচেয়ে কম। অথচ নির্বাচনী ব্যবস্থা যেমন হবে, তার ওপরই নির্ভর করে কেমন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। গত ১৯ ডিসেম্বর বিএনপি বহুল কাক্সিক্ষত রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেখানেও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে কথা নেই, আছে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা।