মশা মারতে কামান কী তবে দাগাতেই হবে
প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য রক্ত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেখছি। কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর জানাচ্ছেন। সকলের প্রার্থনায় থাকতে চেয়ে লিখছেন হাসপাতালের শয্যা থেকে। কেউ আবার জ্বর নিয়ে বাসায় শুয়ে-বসে কাতরাচ্ছেন। হাপাতালগুলোতে ছোটাছুটি চলছে। কেউ রোগী ভর্তি করাতে ছুটছেন, কেউ ছুটছেন রোগী সামলাতে। হাসপাতালে আবার ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা।
গত দুই যুগ ধরেই ডেঙ্গু আমাদের সঙ্গে একরকম গাঁটছড়া বেঁধে আছে। প্রতিবছরই আমাদের ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে হয়। মাঝখানে ২০২০ সালে করোনা এসে ডেঙ্গুর ভয়াবহতাকে হালকা করে দিলেও ডেঙ্গু আমাদের ছাড়েনি। মনে হয়েছে করোনার থাবা মোকাবেলা করা মানুষের কাছে ডেঙ্গু খুবই ঠুনকো। কিন্তু সত্যটা হলো করোনায় মানুষ ভয় পেয়েছিল বেশি। প্রথমদিকে আমাদের প্রস্তুতিহীনতা কোভিড-১৯-কে জটিলতর করে তুলেছিল।