চালের বাজার সামলাতে করণীয়
এ সময়ে চাল আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সেটিও বাজারে প্রভাব রেখেছে, বলা যায়। এরই মধ্যে চাল রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাজারে নতুন করে প্রভাব পড়ার ভয় রয়েছে। উৎপাদন ভালো হলেও বাজারের স্বার্থে বাংলাদেশকে প্রতিবছর কমবেশি চাল আমদানি করতে হয়। এর সিংহভাগই জোগান দেয় প্রতিবেশী দেশটি। ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবরে ইতোমধ্যে দেশের মিল মালিক ও বড় ব্যবসায়ীর কেউ কেউ বেশি লাভের সুযোগ খুঁজছেন বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। আবার ইউক্রেন-রাশিয়ার চুক্তির মাধ্যমে যে গম রপ্তানি হতো; ‘গ্রেইন ডিল’ নামক সেই চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় ইউক্রেন থেকে গমের আমদানি বন্ধ। ফলে চাল এবং গম উভয়ের আমদানি কমার লক্ষণ স্পষ্ট। এ অবস্থায় সরকারের উচিত হবে চালের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। গ্যাস সংকটের কারণে সারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সারের এই ঘাটতি যে কোনোভাবে হোক পূরণ করতে হবে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্ট। অথচ এবার বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। ইতোপূর্বে আমনের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যথেষ্ট ভালো। তবুও বাজারে এ সময়ে চালের উচ্চমূল্যই দেখা যাচ্ছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মোটা চালের মূল্য ছিল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। এর আগেও তার মূল্য ছিল ৪৮-৫০ টাকা। যদিও অন্যান্য বছর এ সময়ে এর চেয়ে কম মূল্যে চাল কেনা যেত।
দেশে চালের উৎপাদন সন্তোষজনক হওয়া সত্ত্বেও বাজার কেন অস্থিতিশীল? এর কয়েকটা কারণ স্পষ্ট। চাল এবং গম বাংলাদেশে প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এগুলো একে অপরের পরিপূরক। গমের সরবরাহ কমে গেলে আটার মূল্য বেড়ে যায়; মানুষ তখন চালের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে। আবার চালের মূল্য বাড়লে আটায় ঝোঁকার প্রবণতাও রয়েছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- চালের দাম
- চালের বাজার
- কৃষি মন্ত্রণালয়