কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জনতা থেকে দূরে সরছে ক্ষমতা

সমকাল আরশাদ সিদ্দিকী প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০২:০১

আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি হলো জনতার ক্ষমতার প্রতি আস্থা। বাংলাদেশের সংবিধানেও জনগণকে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের কৃতিত্ব প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার। গণতন্ত্র শব্দটি এসেছে গ্রিক ভাষার ডেমোস ও ক্র্যাটোস শব্দ দুটির সমন্বয়ে। ডেমোস শব্দের আক্ষরিক অর্থ নাগরিক, জনগণ বা জনতা এবং ক্র্যাটোস অর্থ হলো শক্তি, ক্ষমতা বা শাসন। 


গণতন্ত্রের প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা ‘জনতার ক্ষমতা’, ‘নাগরিক শাসন’ বা ‘জনগণের শক্তি’ বলতে পারি। গ্রিক শব্দ দুটির অর্থ নিয়ে অনায়াসে টেবিল চাপড়ানো তর্ক এগিয়ে নেওয়া যাবে। সে তর্কে হয়তো যাওয়া যাবে, যদি আমরা গণতন্ত্র বলতে জনতার ক্ষমতাকে মেনে নিতে সম্মত হই। নয়তো জনতা এবং ক্ষমতার মধ্যে তুমুল তর্কে জনতার ক্ষমতাকে অস্বীকৃতি জানানোর পথই প্রশস্ত হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও ঘুণে ধরা আসবাবের মতো ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ার পথে এগোবে।


আরেকটু খতিয়ে দেখলে, গণতন্ত্র এমন একটি ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত, যেখানে জনতা তাদের ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার সংরক্ষণ করে। সেখানে রাষ্ট্রের একজন বৈধ নাগরিক তাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। জনতা রাজনৈতিক ক্ষমতা নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করে। জনতার ক্ষমতা প্রয়োগের (প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে) অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র তার গতিপথ হারায়।


গণতন্ত্র বেপথু হলে জনতার সঙ্গে ক্ষমতার ব্যবধান বাড়ে। এ ব্যবধান যত বেশি হয়, ক্ষমতার মসনদ তত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। রাষ্ট্র পরিচালনাও জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা এর নমুনা ঢের উপলব্ধি করছি। ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরে যারা রয়েছে, উভয় পক্ষই এখন ঘুড়ির মতো পাক খাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির নাটাই হাতে সুতো নাড়ছেন বিদেশি কূটনীতিকরা।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও