তাজউদ্দীন আহমদ: কর্তব্যবোধ ও বাংলাদেশের নবজাগরণ
ইতিহাসের নায়কদের চিনে নিতে হয় প্রত্যেক জাতিকে। যে জাতি এ প্রশ্নে থাকে উদাসীন, সংশয়িত তার মাশুল দিতে হয় কড়ায়-গণ্ডায়। কেননা জাতির নির্মাণের প্রশ্নে, আত্মপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার ইতিহাস ও ইতিহাসের নায়কদের চেনাটা জরুরি নয় কেবল, অপরিহার্য। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন আমাদের ইতিহাসের নায়কদের অন্যতম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনীষী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকালের প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীন বাংলাদেশেরও প্রথম প্রধানমন্ত্রী। যার সবটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে, বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত চাওয়াকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। এ যেন হিন্দু পুরাণের ভরতের গল্প! যদিও তাতে অতিরঞ্জন নেই একরত্তি।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন স্থপতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর। স্বপ্নকে সফল ও সার্থক করে তোলার ধ্রুপদী এক শিল্পী, ’৭১-এর যুদ্ধদিনের নায়ক। তার প্রখর নীতিবোধ, আত্মত্যাগ, স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসহীন অবস্থান, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে লক্ষ্যভেদী মনোভাব, দেশপ্রেম, জনদরদ ও মানব সংবেদী বুদ্ধিবৃত্তিক হৃদয়ের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্ভব হয়েছিল। যার মধ্য দিয়ে কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের যাত্রায় বাঙালি জাতি প্রথমবারের মতো একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিকের গর্ব ও গৌরবের অধিকারী হন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- প্রধানমন্ত্রী
- জন্মদিন
- তাজউদ্দীন আহমদ