৫ নিয়ম মানলে বর্ষাকালেও নির্ভয়ে খেতে পারেন শাকপাতা
শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে বর্ষায় শাক খেতে বারণের কারণ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় শাকপাতায় ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু জন্ম নেয়। রোগবালাইয়ের আশঙ্কা দূর করতেই এই মৌসুমে শাক এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়।
অথচ বর্ষাকালেই নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ফলে এই সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি থাকা জরুরি। আর এটা বাড়ানোর উপাদান আছে নানা ধরনের শাকসবজিতে। তাই সুস্থ থাকা জন্য শাকপাতা খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কিছু নিয়ম মেনে চললে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
১) কেনার সময় দেখে নিন শাক টাটকা কি না। দেখে সতেজ এবং টাটকা মনে হলে তবেই কিনুন। নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা শাক হলদে হয়ে গেলে সেগুলো ভুলেও কিনবেন না। দরকার হলে কেনার সময় শাকের পাতা ছিঁড়ে পরীক্ষা করে নিন।
২) বাজার থেকে শাকপাতা কিনে আনার পর প্রথম কাজ হবে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নেওয়া। কারণ শাকসবজির ফলন যাতে ভালো হয় সেজন্য অনেক সময় নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। ঠিক করে না ধুয়ে রান্না করলে পেটখারাপ ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা হতে পারে।
৩) খুব ভালো হয় রান্নার আগে যদি শাকসবজি গরম পানিতে ভাপিয়ে নেন। শুধু ভালো করে ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট নয়। শাকপাতায় থাকা ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু দূর করতে এর চেয়ে ভালো পন্থা আর নেই।
৪) সঙ্গে সঙ্গে রান্না না করলে শাকপাতা ধোয়ার পর পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। ভেজা অবস্থায় রেখে দিলে নতুন করে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তা না চাইলে শাকসবজি শুকনা করে রাখুন।
৫) শাকপাতা জীবাণুমুক্ত করার আরও একটি উপায় হলো বরফগলা পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক রাখলে শাকপাতা সতেজ হয়ে যাবে। শাকপাতার সবুজ রং এবং সতেজ ভাবও অক্ষত থাকবে।