কত দূর এগিয়েছে শ্রীলংকার অর্থনীতি
শ্রীলংকার অর্থনৈতিক রাজধানী কলম্বোর চালচিত্র বলতে গেলে স্বাভাবিক। রাস্তাজুড়ে ব্যস্ততা ও রেস্তোরাঁগুলোয় স্থানীয় এবং বিদেশীদের ভিড় সহজেই চোখে পড়ে। কিন্তু বাস্তবতা এতটা মধুর নয়। বছরখানেক আগেও দেশটি বিদেশী মুদ্রার সংকটে হিমশিম খাচ্ছিল। জ্বালানি কেনার মতো টাকা ছিল না, রাস্তাঘাট ছিল জনশূন্য, এমনকি গণপরিবহনও থমকে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বছর শেষে উঠে আসছে হিসাব-নিকাশ।
বছরখানেক আগে দেশটির শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে হতো। মানুষ কাজ করতেন ঘর থেকে। কিন্তু বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে প্রায়ই সেটাও সম্ভব হতো না। কারণ দিনের ১২-১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না তখন। খাদ্য-ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি ছিল বাজারে। তাতে সংকট আরো প্রকট হয়েছে। তীব্র গরমে মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করতে হতো। সে কারণে অন্তত ১৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল বয়স্ক মানুষ।