মহররম মাসের আমল
নতুন হিজরি বছর শুরু হয়েছে। দুনিয়ার সাধারণ নিয়মেই নতুন একটি বছর এসেছে পরিসমাপ্তির পথ বেয়ে। তাই এটি বিগত সময়ের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করা এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন সংকল্পে উজ্জীবিত হওয়ার সময়। অতীতের যে সময়টুকু আল্লাহতায়ালার মর্জি মোতাবেক অতিবাহিত করার সুযোগ হয়েছে, তার জন্য বিনম্রচিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, আর যা উদাসীনতা, অলসতা ও আল্লাহর অবাধ্যতায় বরবাদ হয়েছে; সেজন্য আন্তরিকভাবে অনুশোচনা করা। এটাই হলো একজন প্রকৃত মুমিনের করণীয়।
ইসলামের শিক্ষা হলো মুমিনের আত্মপর্যালোচনা বর্ষকেন্দ্রিক নয়। মাস কিংবা সপ্তাহকেন্দ্রিকও নয়। মুমিন প্রতিদিন তার যাবতীয় কাজকর্মের হিসাব গ্রহণ করে এবং গতকালের চেয়ে আগামীকালকে অধিক ফলপ্রসূ করার চেষ্টা করে। কারণ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘সকল মানুষ প্রত্যুষে উপনীত হয় এবং নিজের সত্তাকে বিক্রি করে। হয় আল্লাহর কাছে বিক্রীত হয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে, নতুবা শয়তানের কাছে বিক্রীত হয়ে নিজেকে ধ্বংস করে।’ সহিহ মুসলিম : ১০০
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত তখন প্রত্যুষের অপেক্ষা করো না। আর প্রত্যুষে করো না সন্ধ্যার অপেক্ষা। সুস্থতার সময়ই অসুস্থতার কথা মনে রেখে কাজ করো। আর জীবন থেকেই সংগ্রহ করো মৃত্যুর পাথেয়। হে আল্লাহর বান্দা! তুমি জানো না, আগামীকাল তোমার উপাধি কী হবে? (জীবিত না মৃত)।’ জামে তিরমিজি : ৪৬৮