নতুন নিয়মে প্রকৃতির প্রতিশোধ

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩

একবার জাপানে গিয়েছিলাম এক কর্মশালায়। তিনজন প্রশিক্ষক ছিলাম। একজন সিঙ্গাপুরের নাট্য পরিচালক, অন্যজন মালয়েশিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাট্যতাত্ত্বিক এবং আমি। সারা দিন প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে কাটে এবং সন্ধ্যায় আমাদের নাটক মঞ্চস্থ হয়।


সময়টা সম্ভবত ১৯৯৩ সাল। মালয়েশিয়ার নাট্যতাত্ত্বিক হঠাৎ আমাকে প্রশ্ন করে বসলেন, ‘বলো তো ১০ বছর ধরে তোমরা যে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে, সেই এরশাদ কী করে পাঁচটি আসনে নির্বাচিত হয়ে আসেন?’ প্রশ্নটা করেই তিনি সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বিজ্ঞের মতো আমার দিকে তাকালেন। আমি নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু মনে হলো তিনি আমার কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছেন না। সিগারেট নেভাতে নেভাতে বললেন, ‘শর্ট মেমোরি অব দ্য পিপল।’ মানে, জনগণের স্মৃতি খুবই অল্পকালের। ঠোঁটের কোণে একটা মুচকি হাসি। এরপর অনেক রাত পর্যন্ত চলল বাহাস। সত্যটা আমি ততক্ষণে উপলব্ধি করতে পেরেছি।


কয়েক দিন আগে সৈয়দ জামিল আহমেদের ‘বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটকটি দেখেছি। নাটক দেখতে দেখতে সেই মালয়েশিয়ার অধ্যাপকের কথা মনে পড়ছিল। তাই তো! কত আগেই আমাদের স্মৃতি থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বারা ধর্ষণের শিকার নারীদের কথা ভুলে গিয়েছি আমরা। তেমন কোনো দায়বোধও করিনি। কোথায় হারিয়ে গেল তাঁদের আত্মত্যাগের স্মৃতি! এ যেন আমরা ভুলতেই চেয়েছি।


শুধু তা-ই নয়, সেই সব অপরাধী, যারা নারীদের সম্ভ্রম বিকিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে, তাদের কথাও আমরা ভুলে গিয়েছি। যদি সেই সব বীরাঙ্গনা আমাদের আত্মীয়স্বজন বা পরিচিত হন, তাহলে তো ভুলতেই চেয়েছি, চিনতেও চাইনি। আমরা তাঁদের কথা জানিও না। কীভাবে তাঁরা যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে আত্মীয়স্বজন দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, সব জানার পর স্বামী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন স্ত্রীকে, বোনকে আশ্রয় দেননি ভাই। এক অজানা অন্ধকারে তাঁরা পা বাড়িয়েছেন, সবই আমাদের জানা। কিন্তু তাঁদের পক্ষে আমরা কি কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছি?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও