উচ্চরক্তচাপ : ১ টাকা ব্যয়ে মিলবে ১৮ টাকার সুফল
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে উচ্চরক্তচাপের রোগী। এ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে এর ওষুধ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, অনেকেই উচ্চরক্তচাপ পরীক্ষা করেন না। ফলে তাদের স্ট্রোকঝুঁকিসহ অন্য রোগ বেড়ে আরও অর্থব্যয় বাড়ছে। তাই পরীক্ষা ও ওষুধের পেছনে যদি ১ টাকা ব্যয় করা হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া যায়।
বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশের জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ হওয়া উচিত। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট বাজেটের ৫ শতাংশ, জিডিপির মান দশমিক ৭৬ শতাংশ। কিন্তু গত অর্থবছরেও এই বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, জিডিপির দশমিক ৮৩ শতাংশ। অর্থাৎ বাজেটে বরাদ্দ বাড়ার বদলে উল্টো কমছে।
বক্তারা আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চরক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চরক্তচাপের ওষুধ (এমলোডিপিন ৫ মি. গ্রা.) সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এটি এখন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীর চাপ কমাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য ২ থেকে ৩ মাসের ওষুধ একসাথে দেওয়ার ব্যবস্থাপত্র-পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে।