প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকবেন কি?

যুগান্তর এ কে এম শামসুদ্দিন প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৩:১৪

ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সরকারের একজন সচিব চমক দেখিয়েছেন। চাকরির এক বছর বাকি থাকতেই তিনি পথসভা ও মতবিনিময় সভা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। চমক সৃষ্টিকারী এ ব্যক্তির নাম খাজা মিয়া। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। খাজা মিয়ার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামে। তিনি ঈদের পর দুদিন বিরামহীনভাবে সকাল, দুপুর, বিকাল ও সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, রাস্তার মোড় ইত্যাদি স্থানে পথসভা ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ খবর জাতীয় সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার পথসভার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি এসব সভায়, রাজনৈতিক নেতাদের মতো নড়াইল-১ আসনের সংসদ-সদস্য কবিরুল হকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। ভিডিও ক্লিপটি দ্রুত ভাইরাল হলে খাজা মিয়াকে নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়।


এসব পথসভা ও মতবিনিময় সভায় জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়া প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে যে বক্তব্য রাখেন, তা শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। সরকারি চাকরিতে থাকাকালে সরকারপ্রধানের কাছে রাজনীতি করার জন্য যে আবদার করা যায়, সম্ভবত বাংলাদেশের মানুষ এই প্রথম তা জানতে পারল। কারণ, খাজা মিয়া কোনো কিছু রাখঢাক না করে, সে কথাই তার এলাকার মানুষদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার চাকরি জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমি আর চাকরি করব না। আপনি আমাকে নমিনেশন দেন। আমি কালিয়ায় ফিরে যেতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী যথাযথ জবাবই দিয়েছেন। খাজা মিয়ার ভাষায়, ‘উনি বলেছেন, তোমাদের একটি মামলা আছে, আইনি বার (বাধা) আছে। তিন বছরের আগে নির্বাচন করতে পারবে না।’ তারপর খাজা মিয়া উপস্থিত সবাইকে বলেন, ‘আমি বলেছি, নেত্রী আমরা ওই তিন বছরের আইনি বার তুলে দিতে হাইকোর্টে মামলা করেছি। মামলার রায় হয়তো আমাদের পক্ষে আসবে। রায় পেলে যদি নমিনেশন দেন, আমি মানুষের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চাই।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও