চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি, দলকে ‘অসহযোগিতা’ স্মলির
বাফুফেতে পল স্মলির পদবি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। ক্ষমতার জোরে তিনি অবশ্য সবকিছুতেই নাক গলান। তাঁর হস্তক্ষেপ সবচেয়ে বেশি নারী ফুটবলে। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে সিনিয়র পর্যায়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মেয়েদের সঙ্গে নিয়মিতই দেখা যেত স্মলিকে। কিন্তু আজ নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের তালিকায় নেই পল স্মলির নাম।
চুক্তি নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে দরকষাকষি করা স্মলি নিজে যেমন থাকছেন না, তেমনি ফিটনেস ট্রেনার ইভান রাজলভকেও দল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামার আগে পল স্মলির অসহযোগিতা ফুটবলাঙ্গনে নেতিবাচক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
২০১৬ সালে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে বাফুফেতে যোগ দেওয়া পল নিজেকে ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যান। নারী দলের অনুশীলন সূচি, পরিকল্পনা সবকিছুই হতো তাঁর তত্ত্বাবধানে। মূলত ব্রিটিশ এ নাগরিকের কারণেই গত মে মাসে নারী দলের কোচের চাকরি ছেড়ে দেন গোলাম রব্বানী ছোটন। তার আগে ফেডারেশন সভাপতিকে পলও জানিয়ে দেন তিনি চাকরি করবেন না। কিন্তু নিজে তো সরে যাননি, উল্টো কাজ না করেও গত দুই মাস ধরে বেতন নিচ্ছেন।