সংবাদ পাঠকের ভাত মারবে লিসা
দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেলে রোবট দিয়ে খবর পড়ালে শত শত নিউজ প্রেজেন্টারের কী হবে? তারা বেকার হয়ে যাবেন, নাকি পেশা বদল করবেন? এসব প্রশ্ন সামনে এসেছে। গত রোববার থেকে উড়িষ্যার টিভি চ্যানেল ওটিভিতে সংবাদ পাঠ শুরু করেছে রোবট লিসা। টেলিভিশনটির এ পদক্ষেপ ঘিরে দেশজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত লিসা এখন থেকে দিনের একাধিক সময় খবর পড়ে শোনাবে। রোবট দিয়ে খবর পড়ানোর এটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে চীনেও এমনটি দেখা গেছে। বিশ্বায়নের যুগে আমাদের দেশেও এ প্রযুক্তি চলে আসতে পারে। যদি সম্প্রচারে থাকা সব টেলিভিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সংবাদ পাঠের ব্যবস্থা করে তাহলে এই কৃত্রিম লিসারা কি দেশের প্রেজেন্টারদের ভাত মারবে?
দেশের টেলিভিশনগুলোতে দুই ধরনের সংবাদ পাঠক আছেন– পূর্ণকালীন ও খণ্ডকালীন। স্থায়ীরা বার্তা বিভাগে রুটিন কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সংবাদ পাঠ করেন। ২৪ ঘণ্টার নিউজ চ্যানেলে এমন সংবাদ পাঠকই দেখা যায়। তবে বার্তা ও অনুষ্ঠান বিভাগ নিয়ে মিশ্র টেলিভিশনে মূলত অস্থায়ী সংবাদ পাঠক দেখা যায়। চিকিৎসক, ব্যাংকার, শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কেউ কেউ খণ্ডকালীন কাজ হিসেবে সংবাদ পড়ছেন। প্রমিত উচ্চারণের পাশাপাশি সুশ্রী মুখমণ্ডল তাদের অন্যতম যোগ্যতা। অবশ্য রূপচর্চা শিল্পীদের কৃত্রিম প্রলেপে অনেকের বাস্তব চেহারা পর্দায় পাল্টে যায়। চকচকে মুখ আর শাড়ি দেখে বাস্তবতা বোঝা কঠিন।