টাকা হাতে রাখার প্রবণতা বাড়ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি, এলসি জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ পাচার ও তারল্যসংকটের জেরে অনেক গ্রাহকের আস্থার সংকট দেখা দেয়। এর ফলে বছরজুড়ে ব্যাংকে টাকা না রেখে হাতে রাখার বাড়তি প্রবণতা সৃষ্টি হয়, যা গত অর্থবছরের শেষের দিকে আরও বেড়ে যায়।
পাশাপাশি ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের সুদহার হ্রাস, নিত্যপণ্যের চড়া দামের প্রভাবে ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে অর্থের বাড়তি চাহিদা মেটাতে অনেক গ্রাহক সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে রাখার পরিবর্তে হাতে রাখতে শুরু করেন। অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন, যার ফলে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মে মাসে ব্যাংক খাতের বাইরে টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।কিন্তু চলতি বছরের মে মাস শেষে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বছরের ব্যবধানে ব্যাংক থেকে মানুষের হাতে টাকা চলে গেছে ৩০ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।
শতকরা হিসাবে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর চলতি বছরের এপ্রিল শেষে মানুষের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন মাসে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়েছিল ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২ সালের জুনে হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।